সোলায়মান,নাগরপুর
কোটা প্রথার সংস্কার ও সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর কমপ্লিট শাটডাউনের অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ দফায় দফায় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওসি সহ ৬ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে নাগরপুর উপজেলা ছাত্র সমাজের ব্যানারে কোটা বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারি ছাত্র ছাত্রীরা নাগরপুর উপজেলা গেট থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নাগরপুর সরকারি কলেজ গেটের সামনে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে ছাত্র ছাত্রীদের উপর ব্যাপক লাঠি চার্জ করে। পরে আন্দোলনরত ছাত্ররা নাগরপুর বাজারের সদর সড়কে মিছিল নিয়ে আসলে সেখানেও পুলিশ লাঠি চার্জ করে। তৃতীয় দফায় ছাত্র ছাত্রীরা তালতলা সড়কে ফের অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ ও ছাত্রদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসসময় বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় নাগরপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন আঘাত প্রাপ্ত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের লাঠি চার্জে আহত ছাত্ররা হচ্ছেন, প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহিদ হাসান, মিঠু, ফাহিম, মো. রাফি ও সামিম আহত হয়।
প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহিদ হাসান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করতে ছিলাম। পুলিশ ও ছাত্রলীগ বিনা উস্কানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর হামলা করে। এ হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় ফের প্রতিবাদ কর্মসুচী পালন করা হবে।
ছাত্রদের উপর লাঠি চার্জ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, আন্দোলনকারি ছাত্রদের মিছিল সরকারি কলেজ গেটের সামনে পৌছলে তাদের মিছিল না করতে ও শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয়। আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা মিছিল করে বাজারে আতংক ছাড়ানোর ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।