ডেক্স
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি রেজাল্ট বাতিলের দাবীতে চাকুরি প্রত্যাশাীরা আজ মানববন্ধন করেছেন।
রবিবার সকাল ৯:৩০ থেকে দুপুর ১টাপর্যন্ত আগারগাঁও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের( পিএসসি) সামনে সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে চাকুরি প্রত্যশীরা চলমান ৪৪তম এবং ৪৫তম বিসিএসও স্হগিত করার অনুরোধ করেন।
এসময় বক্তরা বলেন, ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তাই গায়ের জোরে এই বিসিএসটি বাতিল না করলে সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পিএসির উপর সাধারণ মানুষের আর কোনো আস্হা থাকবে না। এজন্য ৪৬তম বিসিএস বাতিল করে একটা নির্দিষ্ট সময় দিয়ে আবার প্রিলি গ্রহণ করতে হবে পিএসসিকে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে আন্দোলনের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলার একজন চাকুরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থী রেহানা আক্তার বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এটা প্রমাণিত। তাই বিসিএস বাতিল করতে হবে। সময় বেঁধে দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে। এছাড়া দোষীদের শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া পিএসসির উপর থেকে আমাদের আস্হার সংকট কাটবে না।
আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক সোহেল আমিন জানান, ৪৬তম বিসিএসের একটি বুথ থেকেই কমপক্ষে ১০০জনের কাছে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এরকম কত যে শত শত বুথ বসিয়ে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সেটার কোনো ইয়ত্তা নেই। কত জনের কপাল পুড়িয়েছে সেটা হিসাবের বাইরে। তাই আমরা অবিলম্বে ৪৬তম বিসিএস বাতিল চাই।
সেইসাথে ৪৪তম ও ৪৫তম বিসিএসেও যেহেতু প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, সেগুলোও বাতিল চাই ও দোষীদের শাস্তি চাই।
মানববন্ধনে চাকরি প্রার্থীরা বলেন, যেসব ননক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, সেগুলোও বাতিল করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষ করে আন্দোলনকারীরা পিএসসির সামনে অবস্থান নেন। এরপর প্রায় বেলা আড়াইটার দিকে পিএসসির সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরীর কাছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি টিম বিসিএস বাতিল চেয়ে আবেদন পত্র হস্তান্তর করেন।
বিষয়টি নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মো: সোহরাব হোসাইন জানান, “সরি।
তদন্ত চলমান বিধায় এ মুহূর্তে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করার সুযোগ নেই।