নিজস্ব প্রতিবেদক
: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য বিকিকিনি ও বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নাশকতার মামলার আসামীদের সাথে স্বাক্ষাতের বিনিময়ে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অনিয়ম ও দূর্ণিতির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া মনিরুল ইসলাম নিজেকে কারাগারের নিয়ন্ত্রক বলে ভূয়া পরিচয় দিয়ে বন্দিদের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।এই কারারক্ষী মনিরুল বিভিন্ন কৌশলে বন্দি ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষাধিক টাকা। এমনকি তার অজ্ঞাত শক্তির প্রভাবে সাধারন কারা বন্দীদের সাথেও তিনি র্দূব্যবহার করে চলেছেন।
সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দি ও স্বজনদের সাথে কথা বলে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, একাধিক অপরাধের কারণে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর জয়পুরহাট কারাগার থেকে তাকে প্রত্যাহর করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বদলি করা হয়। ২০০৩ সালের ১ ডিসেম্বর কারারক্ষী পদে যোগদান করেন মনিরুল ইসলাম তাঁর কারারক্ষী নং ৩২০৫৫। বাড়ি নাটোর জেলায়। একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে জানা যায় বছরখানেক আগে কারারক্ষী মনিরুল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগদানের পর থেকেই মাদকসহ তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি অর্থ বানিজ্যে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জিএমবি, বাংলাভাই’সহ মোষ্ট ওয়ান্টেন্ড আসামীদের সাথেও কারারক্ষী মনিরুল ইসলাম বেশ সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর মোটা অংকের অর্থের কারা অভ্যান্তরে বিনিময়ে বিভিন্ন মাদকসহ অবৈধ দ্রব্য সরবরাহ শুরু করেন। এর পাশাপাশি একজন বন্দির সাথে বিশেষ সুবিধায় সাক্ষাতের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ৩‘শ থেকে ৫‘শ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। কারা অভ্যান্তরে বন্দিদের নানা ভয়-ভীতি দিয়ে মাসিক ১ থেকে ২ হাজার টাকা হারে আদায় করে আসছিলেন। ইতিপূর্বে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষী মনিরুলকে বদলি করায়। কারারক্ষী মনিরুলের মিথ্যা সংবাদ অপপ্রচারের রোষানলে কারা কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে কর্মরত। সেখানেও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন চাপাইনবয়াবগঞ্জ কারা কর্তৃপক্ষ। কারা সূত্রে জানা যায়, কারারক্ষী মনিরুলের বিভিন্ন অপেশাদার ও বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভাগীয় মামলা দায়ের’সহ তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এতে কারারক্ষী মনিরুল আরও ক্ষুব্ধ হয়ে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ, ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন। এছাড়া ডিআইজি প্রিজন, সিনিয়র, জেল সুপার, জেলার’সহ কারা কর্তৃপক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে বেসরকারি মিডিয়ায় মনগড়া বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেন। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য ভিডিও করে তা সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন। যা চাকরিবিধির লংঘন,
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানা গেছে কারারক্ষী মনিরুলকে বারবার সতর্ক করার পরেও তাকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।
শেষ পর্যন্ত কারারক্ষী মনিরুলকে চাপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও তাঁর বেআইনি কর্মকাণ্ড আজও অব্যাহত রয়েছে। কারারক্ষী মনিরুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উগ্রবাদী কারারক্ষী মনিরুলের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর জানতে Voice of Bangladesh News a বিস্তারিত আসছে দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন।
সত্যের অনুসন্ধানে আমরা নির্ভীক কলম ✑ সৈনিক
সংবাদ/ ভয়েস/অফ/বাংলাদেশ।