ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-২/ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে উফশী রোপা আমন ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা ও ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ৩৬০০ কৃষকের মাঝে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ রবিবার বেলা এগারোটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদর মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান – উজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর উল্লাহ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলী হিরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ আক্তারুন নেছা, উপজেলা কৃষি অফিসার গোবিন্দ মন্ডল।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। তিনি কৃষি ও কৃষকের কথা চিন্তা করে সার,বীজের উপর ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে দাড়িয়েছেন। এবং বিভিন্ন কৃষি মেশিনের উপর ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের ফলন উৎপাদনে অনন্য ভূমিকা নেওয়ায় আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান উজ্জামান বলেন, কৃষকের ঘাম জড়ানো ফসল উৎপাদনে আজ ভোলা জেলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বাধীনতার সময়ে এদেশে ৭ কোটি জনগন ছিল তখনো আমাদের কৃষক ভাইয়েরা খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করছে আর এখন ১৮ কোটি জনগন তাও তাদের খাদ্যের যোগান আমাদের কৃষক ভাইয়েরাই দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের কৃষক ভাইদের কৃষি কে উন্নত করতে সর্বাত্মক
সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় রেমালে চাষিদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে সার,বীজ দিয়ে কৃষকের পাশে দাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উপজেলা কৃষি অফিসার গোবিন্দ মন্ডল তার বক্তব্যে বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কৃষি ভর্তূকির আওতায় ২০০০ জন চাষিকে বিনামূল্যে সার, বীজ দিলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের পূর্নবাসনে আরও ১৬০০ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে সার,বীজ বিতরণের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে এ উপজেলায় মোট ৩৬০০ জন চাষি বিনামূল্যে সার ও বীজ পাবে। এতে করে অত্র উপজেলায় আমন আবাদে বিপ্লব ঘটবে আশাকরি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃন্দ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের তিন শতাধিক কৃষকগণ।
অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের হাতে বিনামূল্যে সার ও বীজ তুলে দেওয়া হয়।