ডেস্ক রিপোর্ট
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) মওকুফের সময়সীমা আজ শেষ হচ্ছে, এবং ১ জুলাই থেকে এই সেবা ও টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে মেট্রোরেলের টিকিটে কোনো ভ্যাট নেই। এই ভ্যাট আরোপের ফলে টিকিটের দাম বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) থেকে ২৩ জুন ডিএমটিসিএল-কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট কর্তন করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর সব ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ১১ মার্চ এনবিআরকে চিঠি দিয়ে অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল, কিন্তু এনবিআর ৪ মে জানায় যে এই মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব নয়। এনবিআর-এর সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
ভ্যাট আরোপের ফলে টিকিটের দাম বাড়বে কি না জানতে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকের কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল থেকে বছরে ৭৫ থেকে ১০০ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হতে পারে। ডিএমটিসিএল চাইলে নিজে এই ভ্যাট পরিশোধ করতে পারে অথবা টিকিটের দাম বাড়িয়ে তা সংগ্রহ করতে পারে।
মেট্রোরেল বর্তমানে ঢাকা শহরের একটি জনপ্রিয় পরিবহন ব্যবস্থা। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এবং বর্তমানে মতিঝিল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ যাত্রী এই পরিবহন ব্যবস্থার সেবা গ্রহণ করে।
এনবিআর সূত্র জানায়, দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য অর্থের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ভ্যাট অব্যাহতি ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এলডিসি উত্তরণের লক্ষ্যে এবং কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন খাতে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে যাত্রীদের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা সময়ই বলে দেবে, তবে প্রাথমিকভাবে ভ্যাটের কারণে মেট্রোরেল সেবার জনপ্রিয়তায় তেমন প্রভাব পড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে।