গোপাল হালদার, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই ‘ভুয়া’ নার্স ও আয়ার মাধ্যমে এক নবজাতক প্রসবের চেষ্টার পর মৃত নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক পৌঁছানোর আগেই শিশুটি জন্ম নেয়। শিশুর স্বজনদের দাবি, নার্সদের কারণেই শিশুটির মৃত্যু ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭জুন) সকালে মহিপুর বাজারে মডেল কেয়ার হাসপাতালে ওই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
রোগীর স্বজনেরা জানান, সকাল ৬টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন শারমিন। পরে বেলা সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মৃত সন্তান প্রসব করান উপস্থিত নার্স ও আয়া। এর আগে ভর্তি হয়েই এই হাসপাতালেই আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গিয়েছিল যে বাচ্চা সুস্থ ও সবল ছিল।
নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে রোগী শারমিনের মা বলেন, মডেল কেয়ার হাসপাতালে আসলে রোগীর ব্যাথা কমানোর জন্য তাকে স্যালাইন এবং বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করেন। তারপর সকালে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকানোর আনুমানিক আধাঘন্টা পর নবজাতকের মৃত দেহ আমাদের সামনে নিয়ে আসেন তখন আমরা দেখতে পাই যে নবজাতকের নাভিতে দড়ি পেঁচানো রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নবজাতকের মা খাদিজা বেগম বলেন, এখানে আসার পর থেকেই হাসপাতালের লোকজন আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের বাচ্চা মারা গিয়েছে।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবজাতকের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী কে সকাল আনুমানিক সকাল সারে ৮টায় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে প্রায় আধাঘন্টা পর নবজাতকের মৃত দেহ নিয়ে আসেন এবং ডাক্তাররা বলেন আপনাদের নবজাতক মারা গেছে।
ওই অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে মডেল কেয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গিয়েছিল যে বাচ্চা সুস্থ ও সবল ছিল এ কারনে উপস্থিত নার্স ও আয়া নর্মাল ডেলিভারি করেছে। যে কারনে ডাক্তারের প্রয়োজন হয়নি।
নবজাতকের মা শারমিন আক্তার বলেন, আমি আমার সন্তান ভুল চিকিৎসায় হারিয়েছি। আমি চাইনা আর কোনো মা এরকম সন্তান হারায়। আমি দোষিদের সুষ্ঠ বিচার দ্বাবি করছি।
এ ব্যাপারে মহিপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।