এম,এ,মান্নান , নিয়ামতপুর
নওগাঁর নিয়ামতপুরে মাসুমা খাতুন (১২) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখ, গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেছে।
রোববার (২৩ জুন) রাত ৮.১৫ মিনিটের দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর মধ্যপাড়া গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার আশরাফুল ইসলামের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গয়েশপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের মেয়ে মাসুমা খাতুন গয়েশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রোববার বেলা ৫টার দিকে মাঠে ছাগল বেঁধে মায়ের সাথে বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়।
থানায় এজাহার সূত্রে ও মাসুমার বাবা এমদাদুল হক জানা যায়, মাসুমা ঐ দিন প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী রুবিনা বেগম মেয়ে মাসুমাকে সাথে নিয়ে মাঠে যায় ছাগল বাঁধতে। ছাগল বেঁধে বাড়ি আসার পথে একই গ্রামের পরি খামারুর ছেলে আমিরুল ইসলামের বাড়ীর পাশে আসলে বাড়ির ভেতর থেকে ডাকার কথা বলে মাসুমা আমিরুলের বাড়ির ভেতর যায়।
আমার স্ত্রী রুবিনা সাথে সাথে ঐ বাড়ীর ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় আমার স্ত্রী বাড়ির ভেতর যেতে পারে নাই। কয়েকবার বাড়ির ভেতর যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় সে আমাকে ফোনে জানায়।
আমি বাড়ী আসাতে রাত ৮টা বেজে যায়। এসে খোঁজা-খুঁজির করতে করতে রাত ৮.১৫ টায় আমার বড় ভাই শরিফ ও আমার চাচাতো ভাই তসলিম উদ্দিন গ্রাম্য ডাক্তার আশরাফুল ইসলামের বাড়ির পাশের জঙ্গলের মধ্যে আমার মেয়ে মাসুমার মুখ, গলায় রশি বাধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে গুজিশহর বাজারে মাইনুল ইসলামের চেম্বারে নিয়ে আসলে মাইনুল ইসলাম মাসুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাথে সাথে আমার ভাই ও গ্রামের কিছু ব্যক্তি আমাদের সন্দেহ আমিরুল ইসলামকে নজরদারীতে রাখি এবং পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ মেয়ে কে তাদের হেফাজতে নেয়। আমিরুল ইসলামের সাথে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব কিছুদিন যাবত চলে আসছে।
পুলিশ আমিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমিরুল বলেন, আমাদের বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগ কে বা কাহারা মাসুমাকে মুখ ও গলায় রশি বেধে মেরে আশরাফুল ইসলামের বাড়ির পাশের জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়।
থানার ওসি (তদন্ত) কওছার আলম বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।