শফিক রাসেল
ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে, বিষখালি নদী যা আতঙ্কিত করে রেখেছে নদীর দুই পাড়ের মানুষকে।
পূর্ব দিকে বেতাগী বরগুনা এবং পশ্চিম দিকে ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বামনা পাথরঘাটা।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে।
উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সকল ধরনের দুর্যোগ কালীন ও দুর্যোগ পরবর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহনে প্রস্তুত রয়েছে ।
১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস এর আশঙ্কায় পূর্ব প্রস্তিমূলক , সকলকে আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান করতে বলা হয়েছে। নদীতে মাছ ধরার নৌকা ট্রলার ও সকল নৌযান ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পাওয়া মাত্রই নিরাপদ জায়গায় চলে এসেছে।
নদীতে ক্রমান্বয়ে পানির স্রোত ও ঢেউয়ের প্রভাব বাড়তেছে, সাথে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা দেখে উপকূলীয় এলাকার জনমানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুপুর ১২ টার পরে নদীতে যে স্বাভাবিক জোয়ার আসে, আজ রেমালে প্রভাবে সে নদীর পানি ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাথে অস্বাভাবিক স্রোত
যার ফলে অনেক বেড়িবাধ ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার অনেক এলাকার বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
অতি আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল অতিক্রম করবে।
তাই রাত যতই গভীর হচ্ছে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করতেছে।
জেলে ও নদীর পাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে
রাত ১০.৩০ মিনিট থেকে ১১.০০ মধ্যে নদীতে জোয়ার আসবে আর ওই সময়টাতেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের
মূল তান্ডব অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাথরঘাটা, বামনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বেতাগী ও বরগুনাতে বর্তমানে ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করতেছে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রশাসন থেকে বারবার সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে এবং নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে বলা হলেও, কেউই নিজ ঘরবাড়ি গবাদী পশু ও তার মূল্যবান স্থাপনা রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে আগ্রহী নয়।
সেক্ষেত্রে সতর্ক আছেন সকল উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক কর্মী, রেড ক্রিসেন্ট ।