বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা সম্প্রদায়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সরকার নতুন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গতকাল ‘উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট’ (উই)-এর উই হাটবাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব পলক।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে উই-এর তালিকাভুক্ত ২০০০ নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে গ্রান্ট প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫০০০ নারী উদ্যোক্তাকে একই গ্রান্ট প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, স্টার্টআপ বাংলাদেশের মাধ্যমে যে সব নারী উদ্যোক্তা নিজেদের উদ্যোগকে আরও বড় করতে ও বিশ্বায়নের চেষ্টা করবেন, তাদের জন্য ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইকুইটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ থাকবে।
নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ মাস্টারক্লাসের ব্যবস্থা থাকবে। এতে লিডারশিপ, কমিউনিকেশন ও প্রোডাক্ট প্রেজেন্টেশন স্কিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পণ্য ব্রান্ডিং ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সহায়তার জন্য টেলিটক বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করবে। আর নগদ ডিজিটাল ব্যাংক থেকে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ আর্থিক ঋণও পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ই-কমার্স খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ প্রায় ৫০ শতাংশ। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক নারী উদ্যোক্তার সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি এখন একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় ৯০০০ নারী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে কর্মরত রয়েছেন। তারা সরকারি সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এক সাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই নারীদের এই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী। এই সাহসী নারীদের শক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা শহর-গ্রাম ও নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।”