প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান হয়েছে। তাদের অবদানে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, আধুনিক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রেরিত এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ বছরের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি’। জাতীয় সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘দি ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বিষয়বস্তু তাদের সরকার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ ও ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে প্রকৌশলীরা বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, আইসিটি খাত, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও সংরক্ষণে প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
“সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।