সরকার নতুন ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪’ প্রকাশ করেছে যা দেশের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই নির্দেশিকায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের জন্য আলাদা আলাদা গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশেষ করে মোটরসাইকেলচালকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশের এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা আগের ৮০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৬০ কিলোমিটারে নির্ধারণ করা হয়েছে। আর জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিসীমা থাকবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার।
এছাড়া, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও মালবাহী গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আর বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই নতুন নির্দেশিকা সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করলে দুর্ঘটনার মাত্রা ও গুরুত্বর কমবে। এছাড়া পরিবেশ দূষণ হ্রাস এবং জ্বালানি সাশ্রয়েও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তবে এই নির্দেশিকা বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবে এর সাফল্য। সরকার পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও অপরিহার্য। সবাই যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলেই সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এজন্য সরকার, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।