যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি নিয়ে র্যালি ও মানববন্ধ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ইসরাইলের হামলার সমালোচনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘মুক্ত করো ফিলিস্তিনকে’। সেই সঙ্গে এখনই যুদ্ধ বিরতীর আহ্বান জানিয়েও প্লেকার্ড নিয়ে এই মানববন্ধনে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা। মানুষ হিসেবে মানবিক দাবি নিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবার ঘোষণা প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
এই সংহতি প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে মানববন্ধনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বিগত মাস জুড়ে দেখেছি ফিলিস্তিনের হাসপাতালকে লক্ষ্য করে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসরাইলের হামলায় নিহতদের একটি বড় অংশ শিশু ও নারী। বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা লাভ করার পথে এমনই এক গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের মুখোমুখি হয়েছিলো। আমাদের বাবা-মা ও দাদা-দাদিদের কাছ থেকে তার ভয়ঙ্কর বর্ণনা আমরা শুনেছি। এখনও সেই ক্ষত চিহ্ন বয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। সেখানে ফিলিস্তিন বিগত প্রায় ৫ দশক ধরে এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটা অমানবিক। এই অমানবিকতা দেখে নিশ্চিপ থাকার মতো নিষ্ঠুর কিছু হতে পারে না।
অপর এক শিক্ষার্থী জানান, এই অমানবিকতা দেখেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তরুণরাও ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে তাদের ওপর নির্যাতন চালাবার কোন যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও যে কোন অমানবিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানাবার অধিকার রয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের আক্রমণকে আমরা নিন্দা জানিয়ে তাদের সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেছি। অন্ততপক্ষে তারা জানুক, বিশ্বে অপর প্রান্তের একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের কথা ভাবছে এবং তাদের পাশে রয়েছে।
গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যেখানে নিহতের প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন ৭৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।