বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ছিল এক বিস্ময়কর ও কল্যাণময় ঘটনা। তার আগমনে মানবজাতি নিজেদের মুক্তি ও শান্তির পথ খুঁজে পায় এবং অত্যাচার, কুসংস্কার, সামাজিক বৈষম্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্ধকার যুগ থেকে বেরিয়ে আসে।
রবিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে মানবজাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এই মহান দিবসটি মুসলমানদের মাঝে একটি আনন্দ ও মর্যাদার উৎসব হিসেবে পালিত হয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শুধুমাত্র ইসলামের নবী ছিলেন না, বরং তিনি মানবতার প্রতি এক উজ্জ্বল আদর্শ রেখে গেছেন। তার জীবনের অসীম ধৈর্য, সততা, এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি বিশ্বে তাওহিদ তথা এক আল্লাহর উপাসনার ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে মানুষের মধ্যে বিদ্যমান ছিল অন্যায়, অবিচার ও সামাজিক অস্থিরতা। মহানবী (সা.) সেই অন্ধকার যুগ থেকে মানবজাতিকে মুক্তির পথে নিয়ে আসেন। তিনি দুর্বল, অবহেলিত, এবং নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেইসঙ্গে নারী জাতির মর্যাদা, শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে তার অবদান চিরস্মরণীয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, “আমরা যেন মহানবী (সা.)-এর আদর্শ ও শিক্ষা নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি এবং এ মহান দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারি, সেই জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।” তিনি বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম নিবেদন করেন।