গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, দেশের যুবকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টির এখনই সময়। গতকাল রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “তরুণদের এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। যুব সমাজের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ।”
নূরুল হক নূর আরও বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ১৫০ জন তরুণ সংসদ সদস্য থাকা উচিত। সেই সঙ্গে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করা দরকার, যাতে তরুণদের সুযোগ আরও প্রসারিত হয়।”
এ আলোচনা সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘দেশে বেকারত্ব মহামারি নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাত দফা প্রস্তাবনা।’ এই সাত দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল:
১. বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি।
২. প্রতি বছর বেকারত্বের জরিপ প্রকাশ করা।
৩. কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া।
৪. আইসিটি সেক্টরে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. সব ধরনের চাকরিতে আবেদন ফি বাতিল, দুর্নীতি রোধ ও চাকরির বয়সসীমামুক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন।
৬. সরকারি ও বেসরকারি চাকরির বৈষম্য দূর করা।
নূরুল হক নূর দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “এই সরকার সফল হলে দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে। তবে যদি ব্যর্থ হয়, তা হলে দেশজুড়ে সংকট তৈরি হতে পারে। তাই সরকারের সাফল্য নিশ্চিত করতে সবাইকে সহযোগিতা করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার এখনো পোশাক খাতের অস্থিরতা দূর করতে পারেনি। যদি এই খাতে শিগগিরই সমাধান না আসে, তাহলে দেশের পোশাক শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।”
এছাড়া গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে নূর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে তিনি শেখ হাসিনার পুনর্বাসনের বিষয়ে সর্তক করে বলেন, “শেখ হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সমস্যার সৃষ্টি করছে। সরকারকে এসব বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।”