২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে দ্রব্যমূল্যসহ ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছিল, আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে সে বিষয়গুলো বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে এতথ্য জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি। আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রণয়নের সময় আমরা এ বিষয়গুলো বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছি।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল সেগুলো হলো—
দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া; কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা;
আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা; লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো; ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা; সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা; এবং সব স্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট পাঁচ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।