জসিনুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
নীলফামারী জলঢাকায় এক আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় দালিলিক কাগজপত্র চুরি সংঘটিত হয়েছে। নৈশ্য প্রহরী দুইজন দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করতে পারলেও নিরাপত্তা জনিত কারণে নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়ে অধ্যক্ষের দাবী প্রতিষ্ঠানিক নানাবিধ জটিলতা থাকায় প্রতিহিংসা পরায়নে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এ চুরি সংঘটিত করেছে। চাঞ্চল্যকর এ চুরি সংঘটিতের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের রাজারহাট কাবাদীয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসায়। ১৭ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে অত্র প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, অধ্যক্ষের কক্ষের তালাটি ছোট্ট হ্যাসকো ব্লেড দ্বারা কর্তন করে তালাটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অফিস সহায়ক ( পিয়ন ) আবু সাঈদ জানান, চুরি সংঘটিতের বিষয়ে অবগত করার জন্য অধ্যক্ষ ইউএনও স্যারের নিকট গেছে। এ সময় পিয়ন আবু সাঈদ চুরি হওয়া আলমারি থেকে প্রয়োজনীয় দালিলিক কাগজপত্রের চিহ্ন প্রত্যক্ষ করিয়ে জানান, এই আলমারিতে প্রতিষ্ঠানের জমি সংক্রান্ত দালিলিক কাগজপত্রসহ মামলা মোকদ্দমার কাগজপত্র সংরক্ষিত ছিল। মুলতঃ সেই গুলো নিয়ে গেছে চুরি করে। অন্য সব আলমারি ঠিকঠাক আছে। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুদি ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে দারোয়ান ( নৈশ্য প্রহরী ) আতাউর রহমান ( ৫৮ ) আকস্মিক ভাবে আমাকে ও শমশের আলীকে ডেকে বলছে, আসেন তো একটু মাদ্রাসায় চোর এসেছে। আমাকে একা যেতে ভয় করছে। দারোয়ানের কথায় আমি লাইট নিয়ে গিয়ে দেখতে পাই অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভাঙ্গা। এ সময় ময়নুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হয়, নৈশ্য প্রহরীর হাতে টর্স লাইট লাঠি বা মোবাইল ছিল কি না। উত্তরে ময়নুল ইসলাম জানান, না এ সময় দারোয়ান আতাউর রহমানের কাছে কিছুই ছিল না। এ বিষয়ে নৈশ্য প্রহরী আতাউর রহমান জানান, রাত প্রায় ৩টার সময় চারজন দুষ্কৃতকারীকে আমি দেখতে পাই। এর মধ্যে আমি দুইজনক চিনতে পেরেছি। নিজের নিরাপত্তা জনিত কারণে তা প্রকাশ করতে পারছি না। মামলা হউক যা বলার আদালতে বলবো। অন্যদিকে চুরি সংঘটিতের বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানান, সকাল ৮টায় দারোয়ান কর্তৃক জানতে পাই চুরি সংঘটিতের খবর। এসে দেখি এই অবস্থা। অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনোই এমন চুরি সংঘটিতের ঘটনা ঘটেনি। এটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। যে আলমারি শুধু প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির দালিলিক, আয় ব্যয়ের হিসাব, মামলা মোকদ্দমার কাগজপত্র, ক্যাশ ম্যামোসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ঔপনিবেশিক কাগজপত্র চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে আমি ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছি। স্যার আমাকে থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন। আমি সে পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যকারি পদক্ষেপ গ্রহন করেছি।