মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার ৫নং ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন এর হেডম্যান পাড়া এলাকার ইটভাটার কাজে মাটির টপসয়েল ও ফসলি জমি নির্বিচারে কাটায় হুমকির মুখে পড়েছে তিনটি বসতবড়ি ও চলাচলের রাস্তা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাড়ির মালিক।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে সরোজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন এর হ্যাডম্যান পাড়া এলাকায় তিন পরিবারের লোকজন বসবাস করে। ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন এর হ্যাডম্যান সাপুরাম রোয়াজা নিজ স্বার্থে পাশের পানছড়ি উপজেলার নালকাটা এলাকার ইটভাটার মালিক মনির কোম্পানির সাথে ইটের প্রধান উপকরণ মাটি বিক্রির চুক্তিপত্র করেন।এবং মাটি বিক্রি করেন।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপণ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৩ অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে থেকে মাটি কাটা যাবে না। কিন্তু এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বয়োবৃদ্ধ দীজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সুবল ত্রিপুরার বসতবাড়ীর সামনের ফসলি জমি থেকে গত ৩/৪ মাস আগে চেইন এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলেছে ইটভাটার লোকজন। এর ফলে তিনটি বসতবাড়ি ও চলাচলের ইটের রাস্তা যা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া মাটি বহনের কারণে ইট সোলিং রাস্তাটিও দেবে নষ্ট হয়ে গেছে। এবং অনেক জায়গায় ভেঙ্গে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক বয়োবৃদ্ধ দীজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা ও সুবল ত্রিপুরা বলেন, আমরা হ্যাডম্যান সাপুরাম রোয়াজাকে বারবার নিষেধ করেছি এখান থেকে মাটি না কাটার জন্য।তিনি আমাদের কোন কথা শুনেনি।এখন আমাদের চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।এবং বসতবাড়িও হুমকির মুখে আছে।আমরা এই বিষয়য়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে হ্যাডম্যান সাপুরাম রোয়াজা বলেন, আমি আমার ভাই ও ভাতিজাসহ সবাইকে জানিয়ে মাটি কেটেছি। এখন যা ক্ষতি হয়েছে তা আমরা বসে ব্যবস্থা নিব।এবং বাধ বেধে দেব।