ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নতমানের ১৫০টি নতুন মিটার গেজ লোকোমোটিভ আমদানি করার পরিকল্পনা করছে, যা আগামী ৫০ বছরে লোকোমোটিভ সংকটমুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ হবে ৩৭৫০ কোটি টাকা, যা প্রতি লোকোমোটিভের জন্য ২৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
প্রস্তাবিত রুট ও ট্রেন চলাচল
নতুন লোকোমোটিভ আমদানির পাশাপাশি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দেশের বিভিন্ন রুটে নতুন ট্রেন চালু এবং কিছু বিদ্যমান ট্রেন বর্ধিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রস্তাবিত রুটগুলো হলো:
- ময়মনসিংহ – সিলেট রুট: আপ/ডাউন ২টি ট্রেন।
- চাঁদপুর – সিলেট রুট: ১টি ট্রেন।
- ঢাকা – চাঁদপুর রুট: ১টি লোকাল ট্রেন।
- চাঁদপুর – কক্সবাজার রুট: মেঘনা ট্রেন বর্ধিত করা।
- সিলেট – কক্সবাজার রুট: পাহাড়িকা/উদয়ন ট্রেন বর্ধিত করা।
- জামালপুর – কক্সবাজার রুট: বিজয় ট্রেনকে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করে আপ/ডাউন ২টি ট্রেন চালানো।
বন্ধ ট্রেন পুনরায় চালু এবং স্থানীয় উৎপাদন
এছাড়াও, বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করার পাশাপাশি দেশে ব্রডগেজ ও মিটার গেজ যাত্রীবাহী কোচ উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা এবং পাহাড়তলী রেলওয়ে মেরামত কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
রেলওয়ের হারানো গৌরব ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এসব উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল সমস্যা সমাধান হবে এবং রেলওয়ের হারানো গৌরব ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলি রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে এবং দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।