মোঃ আনিছুর রহমান
শশীভূষণ টমটমের ধাক্কায় খাদে পড়ে মো. আবু সাঈদ (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ২ঘন্টা পর টমটম উদ্ধার হলেও ৭ ঘন্টা পর জুতার সুত্রধরে একই খাদ থেকে উদ্ধার হয় শিশু আবু সাঈদ”র লাশা।
বুধবার (২৬ জুন)সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম পাশে আঞ্চলিক সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বিকাল ৪ টার দিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিবার।
নিহত শিশু ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাকের সরদারের ছেলে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবং অবুঝ শিশু আবু সাঈদের মৃত্যুতে পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের মাতন চলছে।
টমটম চালক রুহুল আমিন ওরফে ভুট্টু একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজির মোল্লার ছেলে।
নিহত শিশুর চাচা মো. মোতালেব হোসেন জানান, আমার ছোট ভাই বাকের সরদার ঢাকায় ব্যবসা করার সুবাদে পরিবার নিয়ে সে ঢাকায় বসবাস করেন। গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার ঈদের পরের দিন সে পরিবার ও ভাতিজা আবু সাঈদকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার ২৬ জুন সকাল ৯ টার দিকে ভাতিজা আবু সাঈদ বাসা থেকে বাড়ির পাশে রাস্তায় বেড় হলে স্থানীয় টমটম চালক রুহুল আমিন ওরফে কুট্টি তার টমটম দিয়ে চাপ ঘটনাস্থলে ভাতিজা আবু সাঈদকে পিষ্টে,টমটম সব পাশের খাদে পরে জান। এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পানির নিচে খাদের নরম মাটিতে পুতে রেখে চালক রুহুল আমিন ওরফে কুট্টি পালিয়ে যান। তিনি আরও জানান, ভাতিজা আবু সাঈদকে না পেয় বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৭ ঘন্টা খোঁজখোঁজি করে বিকাল ৪ টার দিকে বাড়ির সাথে অঞ্চলিক সড়কের পাশের খাদে ভাতিজা আবু সাঈদের পায়ের জুতা পানিতে ভাসমান দেখে সেখানে খোঁজাখোঁজি করলে মাটি পুতা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
এঘটনা নিহত শিশুর বাবা বারেক সরদার বলেন, আমার ছেলে আবু সাঈদকে টমটম চালক রুহুল আমিন ওরফে ভুট্টি হত্যা করেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শশীভূষণ থানার উপ-পরিদর্শক এস আই গোফরান সিকদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে শিশুর মরদেহ সুরাতল প্রস্তুত করি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ থাকায় লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হয়েছে।