মোঃ মাসুদ রানা সোহাগ, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একে একে ডুবছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। বসতবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠায় আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল ও মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কবল থেকে বাঁচতে দল বেঁধে পানিবন্ধীরা ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
এদিকে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সাথে সবক’টি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে পানি বৃদ্ধি পায় দুপুর পযন্ত আবার মঙ্গলবার একই দিনে দুপুর থেকে রাত ৯টা এই নিউজ লেখা পযন্ত পানি কমতে শুরু করে।
দোয়ারাবাজার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নেয় ২৫ টি পরিবার ও দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আশ্রয় নেয় শত শত পরিবার তাদের খুঁজ নিতে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশারাফী চৌধুরী এবং বদরুল হাসান অফিসার ইনচার্জ,দোয়ারাবাজার থানা৷ এসময় অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান খুঁজ খবর নিতে এসে কিছু নগদ অর্থ দেন অসহায় এক পরিবার’কে বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য এবং সরজমিনে বাচ্চাদের খাবার কিনে বিতরন করে শেষে বলেন আগামীকাল একটা ব্যবস্থা করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু জানান, সীমান্ত ইউনিয়নগুলোতে উজানের পানিতে বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এজন্য আমারা ২৫ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে,সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৯ ও দোয়ারাবাজার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২০২২ সালের মত প্রলয়ংকারী বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন সুনামগঞ্জবাসী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।