মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম, আত্রাই, নওগাঁ
কিছুতেই যেনো থামছে না প্রতারকদের দৌরাত্ম। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ও কৌশল ধারণ করে গ্রামগঞ্জের সহজ সরল শিক্ষিত বেকার যুবকদের টার্গেট করে তাদের ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে সু-কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।এতে অনেক পরিবারই সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে তারপরও থামছে না তাদের প্রতারণার দৌরাত্ম।বিভিন্ন সময় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই প্রতারকদের খপ্পরে পরে সর্বত্র হারিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেই পথে বসেছে।
ঠিক এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ০৫ নং বিশা ইউনিয়নের নিকটস্থ সমসপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ ওমর শরীফ এর সাথে।
একই জেলার মোঃ সেকেন্দার আলী (৩৮), পিতা মোঃ মফিজ উদ্দিন শেখ, মাতা মোছাঃ সালেহা, গ্রাম: দাসড়া, ডাকঘর: সরস্বতীপুর, উপজেলা: মহাদেবপুর, জেলা নওগাঁ। এই প্রতারক, ২০১৯ সালে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস ধুনট বগুড়ায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মোঃ ওমর শরীফ নামের এই যুবককে ভুয়া যোগদান পত্র দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
পরবর্তীতে প্রতারক সেকেন্দার টাকা ফেরত না দিয়ে তার নিজ নামীয় ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করেন।
তারই প্রেক্ষিতে উক্ত চেক দিয়ে ভুক্তভোগীর বোন জামাই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন নয়ন (৪৫), পিতা মৃত সাইফুল ইসলাম, গ্রাম ঘোষপাড়া আত্রাই নওগাঁ।বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত রায় এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তারপর থেকেই প্রতারক সেকেন্দার আলী পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজছে। সে এখন সাজা প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। এই প্রতারক সেকেন্দারকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসন ও সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।