পটুয়াখালীর তীব্র দাবদাহে ঔষধের সঠিক মান সংরক্ষণে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ ঔষধের প্যাকেটে থাকা নির্দেশনা মতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সংরক্ষণের কথা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে গেছে। জেলার অধিকাংশ ফার্মেসীতেই এ রকম উচ্চ তাপমাত্রায় ঔষধ সংরক্ষিত হচ্ছে।
এতে করে শিশু ও নবজাতকদের জন্য ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক যেমন সেফ-৩, ফেক্সো এবং ফাইটোমেনাডিওনসহ বিভিন্ন জীবনরক্ষাকারী ঔষধের গুণগত মান নষ্টের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সচেতন মহল আশঙ্কা করছে, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত তাপে ঔষধ সংরক্ষণের ফলে রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীবাসী আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা এখন শুধু ভাবছি না ঔষধটা ভেজাল কিনা, বরং আরও ভাবতে হচ্ছে ঔষধটি কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রচারণা ও কঠোর নির্দেশনা প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম কবির হাসান বলেন, “সঠিক তাপমাত্রায় ঔষধ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষের স্বাস্থ্যে নতুন সংকট দেখা দিতে পারে।”
পটুয়াখালী ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। তিনি বলেন, “ফার্মেসীগুলোতে যেন তাপমাত্রা পরিমাপকযন্ত্র থাকে এবং যারা পারেন তারা এসি লাগান। যারা পারছেন না তারা ফ্যান ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।