সারা দেশে হারিয়ে যাওয়া সরকারি অস্ত্র ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানটি দেশের প্রতিটি থানাসহ অন্যান্য স্থানে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র এবং অবৈধভাবে মজুদ থাকা অস্ত্র উদ্ধারে পরিচালিত হবে। এই অভিযানটির মূল লক্ষ্য হলো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধ করা।
সরকারের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০,৩১০টি। এর মধ্যে ৪৫,২২৬টি ব্যক্তিগত অস্ত্র। বৈধ অস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে একনলা বন্দুক (২০,৮০৯টি) এবং দোনলা বন্দুক (১০,৭১৯টি)। এছাড়াও, বেশ কিছু অস্ত্র রাজনীতিবিদদের কাছে বৈধভাবে নিবন্ধিত রয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ৭,২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে ২,৫৮৭টি।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তরা থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের জন্যই যৌথ বাহিনীর এই অভিযান পরিচালিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযানটি দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ অস্ত্রের হুমকি দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এই অভিযানটি তা মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।