জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা:
৮ বছর পর আগামী ২৯ অক্টোবর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে পদ পদবীর জন্য ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন একাধিক নেতাকর্মী। তবে কেন্দ্রীয় এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা পাবেননা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ। মূল্যায়ন হবে দলের ত্যাগী নেতাদের। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলনে রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারকে সভাপতি এবং তৌফিকউজ্জামান তনুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।
এর দীর্ঘ্য ৮ বছর পর আগামী ২৯ অক্টোবর তালতলী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে) অ্যাড: আবজাল হোসেন।
উদ্বোধন করবেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড: ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। প্রধান বক্তা থাকবেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: জাহাঙ্গীর কবির। এছাড়াও কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকউজ্জামান তনু বলেন, আমরা বিগত ৮ বছর চেষ্টা করেছি দলকে সুসংগঠিত করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। সেক্ষেত্রে সফল হয়েছি, হয়তো কিছু ব্যর্থতাও থাকতে পারে। তারপরেও এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলর এবং দলের সিনিয়র নেতারা আমাকে পুনঃরায় দায়িত্ব দিলে চেষ্টা করবো দলকে পুরোপুরি শক্তিশালী করতে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, আমাদের কমিটি বিগত দিনে দলীয় সকল প্রোগ্রাম, জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে থেকে কাজ করে সফল হয়েছি। চেষ্টা করেছি দলের স্বার্থে কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে।
এবারের সম্মেলনেও আমি সভাপতি প্রত্যাশী। বিবেচনা করার দায়িত্ব কাউন্সিলর এবং দলীয় নেতাদের। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, বিগত দিনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে এবং দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাদের কমিটির কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে না দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মোতালেব মৃধাও একই কথা বলেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবজাল হোসেন বলেন, যারা বিগত দিনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন, তাদের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অথবা কোন নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটি কারো ব্যক্তিগত নয়, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত।