এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেষ্টত্বের দাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও।এ বিদ্যালয় থেকে অনেকে শিক্ষা অর্জন করে আজ কেউ ডাক্তার,মাষ্টার, ইন্জিনিয়ার,আরও অনেকেই অনেক প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।অনেকেই আবার স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন এবং বিদেশের সিটিজেন শীপ অর্জন করেছেন।
শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে সেই সব স্যারদের কথা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ অনেকেই ভালো কোন পজিশন পেয়েছেন।সেই সব পুরাতন স্টাফদের মধ্যে মোঃ তছির উদ্দিন মন্ডল ছিলেন একজন।
মোঃ তছির উদ্দিন মন্ডল ছিলেন শালবাড়ী স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অফিস সহকারী।অফিস সহকারীর কি কাজ করতে হয় শিখিয়ে গিয়েছেন তছির উদ্দিন মন্ডল।
শালবাড়ী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র যিনি গাংগোর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বি,এসসি পদে কর্মরত আছেন মোঃ আঃ রউফ (সেন্টু) বলেন,আমি বা আমরা দেখেছি সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে তারপরও তিনি কাজ শেষ করতে না পেরে রাতে বাড়িতে হারিকেনের আলো জ্বালিয়ে কাজ করতেন।আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি এবং তাকে আমি তার নিজের কাজের দায়িত্ববোধ মনে করে আজও সম্মান করি।মরহুম মোঃ তছির উদ্দিনের কথা মনে হলে তার সুন্দর নিপুন হাতের লেখা আজও মনের হৃদয়পটে ভাসে এত সুন্দর হাতের লিখা ছিল তার।তখন অফিস আদালতে হাতের লেখা চলছিল তখন কম্পিউটার এত প্রসারতা লাভ করেছিল না।অফিস আদালতে তার হাতের লেখা দেখে প্রসংশায় ভাসছিল মরহুম মোঃ তছির উদ্দিন মন্ডল। বলা যায় তিনিই শিখে গিয়েছেন দায়িত্ববোধ আসলে কী।
সবশেষে আমি বলব আপনারা যত শিক্ষার্থী এই স্বনামধন্য শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন শেষ করে ভালো পজিশন অর্জন করেছেন অবশ্যই এই দায়িত্বশীলতার এক নক্ষত্র মোঃ তছির উদ্দিন এর জন্য দোয়া করবেন এবং তার সাথে গোটা দেশ বাসীর কাছে ছোট একটি আবেদন আপনারা সবাই মিলে দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে সর্বোচ্চ স্থান জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ স্থান দান করেন।