এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি
শ্রীমন্তপুর-বাহাদুরপুর ভূমি অফিস ০২/১১/২০২৪ ইং সোমবার আকস্মিক ভাবে পরিদর্শন করেন জনাব মোঃ রেজাউল করিম,সহকারী কমিশনার (ভূমি),নিয়ামতপুর,নওগাঁ।তিনি একজন অতি ভদ্র ও নম্র অফিসার।
পরিদর্শন কালে নায়েব জনাব মোঃ লতিফুর রহমান কে যা প্রশ্ন করেছেন কোন উত্তর সঠিক ভাবে দিতে পারেন নি।নায়েব জনাব মোঃ লতিফর রহমান এ অফিসটা সরকারী অফিস তা মনেই করেন না।কোন রেজিস্ট্রার ঠিক নেয়।আসলেই ভূমি অফিসের মূল কাজ রেজিষ্টার ও হোল্ডিং ঠিক রাখা।এমন কি,যে ব্যক্তি নামজারি করলেন তার জমির হোল্ডিং খোলা হয়না।হোল্ডিং খুললে ও জমি বাদ বা যোগ করেন না।সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন রেজিস্ট্রার ঠিক না থাকলে এক জমি বার বার বিক্রি হবে।সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরো বলেন, মানুষের মধ্যে যে ধারনা সৃষ্টি হয়েছে ভূমি অফিস মানেই ঘুষ বানিজ্য এটা থেকে বের হতে হবে।ভূমি অফিস হবে ঘুষ মুক্ত,রাজনৈতিক মুক্ত তাহলেই আমরা মানুষকে ভালোমানের সেবা দিতে পারব।
পুকুর খননের বিষয়ে বলেন জমিতে
পুকুর খনন করতে হলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি পত্র নিতে হবে।৮নং আকন্দপুর গ্রামের আবাসনের বাড়ির বিষয়ে পরিদর্শন সাপেক্ষে ৮ দিনের মধ্যে পরিদর্শন রিপোর্ট দিতে বলেন অথবা যার নামে বাড়ি নেই তাকে বাড়ি থেকে বের করতে বলেন না হলে প্রশাসনের মাধ্যমে এর ব্যবস্থা করা হবে।
পরিদর্শন শেষে নায়েব জনাব মোঃ লতিফুর রহমান কে কিছু নির্দেশনা দিয়ে যান-১.ভূমি উন্নয়ন কর বাড়াতে হবে ২. রেজিস্ট্রার আপডেট করতে হবে ৩. এস,এফ এর উত্তর দেওয়ার সময় ভালোভাবে দেখে শুনে দিতে হবে ৪. এ,ডি,এস এর আদায়ের প্রতিবেদন দিতে হবে ৫. প্রতি মাসে খাস জমি পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে হবে ৬. ঋন সার্টিফিকেট মামলা করতে হবে ৭. উত্তরাধিকার সূত্রে নামজারি হবে না ৮. নামজারি প্রস্তাব বা প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠাতে হবে ৯. নামজারি নথি ১/২ দিন পর পর পাঠাতে হবে ১০. পুকুর খননে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে।অনতিবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান না করলে জনগন বিভ্রান্তির স্বীকার হবেন।
এলাকার জনগন চায় এ রকম একজন অফিসার।তিনি যেভাবে কাজ গুলো বুঝিয়ে দিলেন কম অফিসারগণ আছেন যারা কোন পরিদর্শনে দায়িত্বরত অফিসার কে বলেন না।সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, নিজ নিজ কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জনগন যেন হয়রানির স্বীকার না হয় এ ভাবে কাজ করবেন।জনগন সুখে থাকলেই আমার সোনার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ।