মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
ভোলার দৌলতখানে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট-প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোগে এবং গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার (জিজেইউএস) যৌথ উদ্যোগে দৌলতখান উপজেলার ৯২নং পূর্ব দিদারুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি”, যা দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জিজেইউএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের ফোকাল পারসন ডাঃ অরুণ কুমার সিনহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাখা ব্যবস্থাপক জান্নাত আক্তার ইভা, কারিগরি কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, এবং সকল ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ অনুযায়ী প্রতি বছর জনপ্রতি ১৬৫টি ডিম খাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ এর আওতায় এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০৮টি করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৩১ সাল নাগাদ দেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সালে তা বেড়ে হবে ৪৬৪৮.৮ কোটি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, একটি ডিমে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, এবং ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। এছাড়া ডিমে থাকা লিউটিন ও জেক্সানথিন চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং এতে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠান শেষে একটি র্যালী অনুষ্ঠিত হয় এবং উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ডিম বিতরণ করা হয়।