এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রধান শিক্ষক হিসাবে দক্ষিণপাড়া মোক্তারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জনাবা মোসাঃ দেলওয়ারা খাতুন প্রসংশা কুড়িয়েছেন ছাত্র অভিভাবক বৃন্দ থেকে।তিনি মায়ার জালে বন্দী রেখেছেন বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রীকে।
শিক্ষার্থী কেউ অসুস্থ হলে যেন তার মুখে চোখে দুঃখের ছায়া নামে।এমনি শিক্ষক/শিক্ষিকা হওয়া দরকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।প্রথমিক বিদ্যালয়ে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের পিছনে কারন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মনে করেন শিক্ষিকারা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মায়ের ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে পারেন।
কিন্তু কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এর ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।সংবাদমাধ্যম দক্ষিণপাড়া মোক্তারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকবৃন্দের ব্যবহার মুগ্ধ করেছেন।
প্রধান শিক্ষিকা জনাবা মোসাঃ দেলওয়ারার সাথে ওয়াশ ব্লক নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বার্তা হয়।
প্রধান শিক্ষকা বলেন এ ওয়াশ ব্লক যিনি ঠিকাদারি নিয়েছেন তিনি আমার কথা পাত্তায় দেন না।মোবাইল ফোনে ফোন দিলে রিসিভ ও করেন না।প্রধানের কথায় ঠিকাদারের নাম্বারে সংবাদমাধ্যম ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।কাজ একেবারে নিম্নমানের হচ্ছে।কাজটি করতে আজ ১ বছর পার করে দিলেন।পায়খানার ট্রাংকি করার জন্য মাটি খুড়ে কাজ পেন্ডিং রেখে চলে যায় আর কোন খবর পাওয়া যায় না।আমার স্কুলটি প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক হওয়ায় অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা খেলতে গিয়ে যদি পড়ে যায় তাহলে এর দায়ভার কে বহন করবে।
এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক কে কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার বড় ছেলে এম,বি,বি,এস ডাক্তার,মেঝো মেয়ে এম,বি,বি,এস (ডেন্টাল),ও ছোট মেয়েটি বর্তমানে এম,বি,বি,এস এ তৃতীয় বর্যের ছাত্রী।এ রকম মা প্রতিটি ঘরে ঘরে হোক এ সোনার বাংলাদেশে।মা হিসাবে ও তিনি গর্বের,আবার শিক্ষক হিসাবে ও গর্বের।একটা কথা আছে “আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি উপহার দিব”।তার দৃষ্টান্ত জনাবা মোসাঃ দেলওয়ারা খাতুন-প্রধান শিক্ষক-দক্ষিনপাড়া মোক্তারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।এ মায়ের প্রতি আমাদের এ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ হতে হাজারও সালাম ও মোবারকবাদ।