আবুবকর সিদ্দিক, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি
খুলনা জেলার কয়রা থানার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অদুদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুলের ইট বিক্রিসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে স্কুল পার্শ্ববর্তী রাসেল হোসেন ও শরিফা খাতুনসহ কয়েক জনের বাড়ীতে অদুদ মাস্টার কর্তৃক স্কুলের বিক্রিত ইট পাওয়া যায়।
স্থানীয় রাসেল হোসেন বলেন, আমি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি, আমি অদুদ মাস্টারের বাড়ীতে কাজ করেছিলাম যার দরুন তার নিকট পারিশ্রমিক পাওনা থাকে। একদিন অদুদ মাস্টার আমাকে প্রস্তাব দেয়, স্কুলের ইট হাজার ৭৫০০/- টাকা দরে বিক্রি করছি, তুমি চাইলে তোমার টাকার বদলে ইট নিতে পারো, সেই হিসাবে ৭৫০ পিস ইট আমার পাওনা টাকার বিনিময়ে আমার নিকট বিক্রি করে।
স্থানীয় শরিফা খাতুন বলেন, আমরা বিল্ডিং কাজ করতে করতে ইট কম পড়িলে অদুদ মাস্টারের নিকট থেকে ইট কিনে বিল্ডিং এর সিঁড়ির কাজ করেছি। ইট কি নিয়ে আসছেন নাকি কিনছেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ইট কি অদুদু মাস্টার ফ্রি ফ্রি দেয়, আমাদের কাছে উনি বিক্রি করেছে।
ইতিপূর্বে তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ট্রেন্ডার হওয়ার আগেই গোপনে সমস্ত ইট, দরজা, জানালা ইত্যাদি বিক্রয় করে আত্মসাৎ ও রাজনৈতিক পদে থেকে ইউপি নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ ও এলাকার লোকজনকে মারধর, চাঁদাবাজিসহ জীবননাশের হুমকী প্রদানসহ সরকারি চাকুরীর বিধিমালা ভঙ্গ করাসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মোঃ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কয়রা বরাবর আবেদনসহ মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা, দুদক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছিলো।
এ ব্যাপারে জিএম অদুদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে সেগুলো মিথ্যা। আমি তাদের নিকট কোন ইট বিক্রি করিনি।