আবু মাহাজ, ভোলা
ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম কে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান ওই এলাকার জনগন। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর দেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানগন অন্যত্র পালিয়ে যায় এলাকা ছেড়ে। এ প্রভাবটি দ্বীপ জেলা ভোলায়ও কম পরেনি। এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, ভোলার ৭ উপজেলার অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যানগন পূর্বর ন্যায় অফিসে বসছেন না। অনেক যায়গায় তালাবন্ধি হয়ে আছে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ কার্যালয়টি। যার জন্য চরম ভোগান্তির মধ্যে পরেছে বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ জনগন। এ ভোগান্তি থেকে বাদ পরেনি ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের মানুষগুলো। সরকার পতনের সাথে সাথে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বশির সর্দার দূর্ণীতির দায়ে নিজেকে অভিযুক্ত মনে করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যার করণে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদটি বলতে গেলে বর্তমানে বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে কোন সেবাই বর্তামানে পাচ্ছে না উত্তর জয়নগরের মানুষ। গতকাল ভোলার কায়েকজন গণমাধ্যম কর্মী উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন গেলে তাদের চোঁখে ধরা পরে একটি বিষয়। ওই এলাকার আবুল কাশেম, ওমর ফারুক, রুস্তুম আলী, খাদিজা বেগম, রিপা বেগম, আয়শা আক্তার ও আবদুল বারেকসহ অনেকে জানান, সরকার পতনের পর পরই অপকর্মের কারণে পালিয়েছে বশির চেয়ারম্যান। এখন আমরা ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম কে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। কারণ উত্তর জয়নগর ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনে এক মাত্র তাছলিমা বেগমই জনগনের ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু তাছলিমা বেগমকে নির্বাচনের পর থেকে বশির চেয়ারম্যন কোন প্রকার পাত্তা দেয়নি। তারা আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি ভাবে যত বরাদ্ধ আসতো তাছলিমা বেগমের ৩টি ওয়ার্ডের জন্য তাকে তেমন কিছুই দেয়া হতো না। তার পরও তাছলিমা বেগম নিজ উদ্যোগে বিগত দিনে সাধ্য মতো আমাদের খোজ খবর রেখেছেন। ওই এলাকার আবদুস সাত্তার, আবদুল খালেক, সেতারা বেগম, রোশনা বিবি জানান, তাছলিমা বেগম এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এ পর্যন্ত মোট ৪ বার ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেণ। এলাকায় তার যথেষ্ট জনসমর্থন থাকা সত্যেও ততকালীন লিটন চেয়াম্যানের ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচনে বিজয়ী লাভ করতে পারেননি তিনি। একটা সময় শুধুমাত্র এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লিটন চেয়ারম্যানের সাথে শুরু হয় তাছলিমার ভয়াবহ শত্রুতা। উল্লেখ্য লিটন চেয়ারম্যন মোট ৩বার তাছলিমা বেগমের উপর ভয়াবহ ভাবে হামলা চালায়। তার পরও ক্ষান্ত হয়নি এ প্রতিবাদী নারী তাসলিমা বেগম। গত নির্বাচনে তাছলিমা বেগম জনগনের ভালোবাসার রায়ের মাধ্যমে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হন। এলাকার সাধরণ জনতা আরো জানান, দেশের এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তাছলিাম বেগমকে উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন তাহলে সে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জনগনের উপকার করতে পারবেন।