সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমী দাবি করেছেন, ভারতবিরোধিতা ও পিতৃপরিচয়ের কারণে তাকে গুম করা হয়েছিল। দীর্ঘ আট বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত ৬ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির গোলাম আযমের ছেলে।
মঙ্গলবার (গতকাল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আযমী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে যুক্ত হন এবং তার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, গুমের পর তাকে একটি গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়, যেখানে তার চোখ ও হাত বাঁধা থাকত। তিনি দাবি করেন, তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হতো কেন তিনি ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আযমী অভিযোগ করেন, তাকে একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছিল যাতে তিনি আর কখনও ভারতবিরোধী বক্তব্য দেবেন না এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন না, তবে তিনি এতে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এবং তার মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে আযমী বলেন, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেছেন যে গোলাম আযমের অপরাধ প্রমাণিত নয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।
আযমী সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, তাকে গত ৬ আগস্ট টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকায় মুক্তি দেওয়া হয় এবং ঢাকায় ফিরে আসার পর থেকে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দাবি করেন, তাকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার বিষয়ে সেনাপ্রধান একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং তারা সত্য উদঘাটন করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এছাড়াও আযমী গুম-হত্যা বন্ধ, সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও বর্তমান জাতীয় সংগীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।