বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রতিশোধের রাজনীতি থেকে সরে এসে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তিনি প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে ক্ষমা ও সংশোধনের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করেছে, তাদের আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে যদি কোনো ভিকটিম বা তাদের পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চান, তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করব।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “গত ১৫ বছরের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আর পেছনে তাকাতে চাই না। আমাদের উচিত জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং গণমানুষের মুক্তি ও কল্যাণে কাজ করা। জাতীয় স্বার্থেই আমাদের দল-মত নির্বিশেষে একত্রিত হতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “হিংসার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে গণমুখী রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমকর্মীদের কলম শাণিত করতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াত ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, “জাতির সকল স্তম্ভের হাতগুলোকে জাতীয় স্বার্থে একত্রিত করতে হবে। জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ থাকে, তখন গোটা বিশ্ব তাদের সম্মান করতে বাধ্য হয়। আমরা অতীতে যদি বিভক্ত থাকি, তাহলে আজ আমাদের ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের হাতে আবারও কলম ধরতে হবে। এই জাতিকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে আমাদের রাতদিন কাজ করতে হবে।”
ডা. শফিকুর রহমানের এই বক্তব্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।