২০০৯ সালে পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর অভিযোগে আজ ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এ মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ, পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম এবং হাসানুল হক ইনু। এছাড়াও ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং কারাগারের চিকিৎসকদেরও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা বিদ্রোহের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্টদের মাধ্যমে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। এরপর, বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজের বাবা আব্দুর রহিমকেও আসামি করে আটক করা হয়। পরবর্তীতে কারাগারে তার মৃত্যু হয়, যা বাদীর মতে একটি হত্যাকাণ্ড।
এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ দুপুরের দিকে এই মামলার শুনানি হবে।’
এই মামলার ঘটনাপ্রবাহ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পিলখানা বিদ্রোহ নিয়ে আবারও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।