বরগুনা প্রতিনিধি:
পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির কে আজ ১৪ (আগস্ট) তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সোমবার (১২ আগস্ট) শেখ হাসিনার সঙ্গে তিন মিনিট ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর কবির। ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবিরকে বলেন, ‘আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন এবং১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন। জবাবে মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আপা আপনি ঘাবড়াবেন না, মনোবল হারাবেন না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ঘাবড়াব কেন? আমি ভয় পাইনি।আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কীভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন, থাকেন।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোতালেব মৃধা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আলহাজ জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আমরা বরগুনায় প্রতিবাদ মিছিল করেছিলাম। ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছিলাম। সমাবেশ থেকে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানান।
বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ‘ঢাকা থেকে পিবিআই-এর একটি টিম এসে তাকে গ্রেপ্তার করলেও বরগুনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এক উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শেখ হাসিনার পক্ষে বরগুনায় প্রকাশ্যে মো. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছিলেন। সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনা তার সঙ্গে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের কারণটি পুলিশ পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি।