ডেস্ক রিপোর্ট
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের যানজট নিরসনে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪টি বাইপাস ও ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রকল্প প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর সাথে ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণে। প্রকল্প পরিচালক শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকল্পের অধীনে নির্মিতব্য বাইপাস ও ফ্লাইওভারগুলো হলো:
- পটিয়া বাইপাস: ৬ লেনে উন্নীতকরণ
- দোহাজারী বাজার বাইপাস
- সাতকানিয়ার কেরানীহাটে ৩.৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার
- লোহাগাড়ার আমিরাবাদ বাইপাস
- চকরিয়া বাইপাস
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দৈনন্দিন যানজট, দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাইকার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অবশিষ্ট ১০৭ কিলোমিটার অংশও উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামের মইজ্জ্যারটেক থেকে চকরিয়া পর্যন্ত অংশ উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছে জাইকা।
২০২৬ সালের আগে সম্পূর্ণ মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা সম্ভব না হলেও, এই বাইপাস ও ফ্লাইওভার প্রকল্প মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের পণ্যবাহী যানবাহন এবং কক্সবাজারগামী পর্যটকদের যানবাহনের চাপ সামাল দিতে সহায়ক হবে।
বর্তমানে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব জেলা প্রশাসনে প্রেরণের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
উল্লেখ্য, এই মহাসড়কে ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চারটি ৬ লেনের সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা এই প্রকল্পের কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করবে।