এম,এ,মান্নান, নিয়ামতপুর
স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গণ সরকারের আনিত নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নিজের ক্ষমতার আইন দ্বারা নিজ নিজ অফিস চালাচ্ছেন।চেয়ারম্যান গণ জনগনের উপর চালাচ্ছে স্টিম রোলার।
আইন অনুযায়ী বসতবাড়ির ওপর আমাদের বার্ষিক নির্দিষ্ট পরিমাণ কর পরিশোধ করতে হয়। গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই কর আদায় করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা এবং একজন চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) এই করের টাকা আদায় করে থাকেন বলে এটি চৌকিদারি ট্যাক্স নামে পরিচিত। কিন্তু গ্রামের সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে ট্যাক্স আদায়ের নামে অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ আছে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত শিটে উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছেন কর্তব্যরত কর্মকর্তারা। এমনকি ছাপানো সংখ্যার ওপর কলম দিয়ে তাঁরা খেয়ালখুশিমতো টাকার পরিমাণ বসাচ্ছেন এবং সেটা দেখিয়ে সহজেই টাকা আদায় করছেন। এ যেন ‘দিনদুপুরে ডাকাতি’।
বাংলাদেশ গেজেট, এসআরও নম্বর ৩৩৯-আইন/২০১২/২০১৩ স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ এবং এর ধারা ৬৬এ সরকার কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের জন্য প্রণীত আদর্শ কর তফসিল অনুযায়ী আধা পাকা ইমারতের জন্য মেঝের পরিমাণ অনুযায়ী বার্ষিক করহার ৫০/৭৫/১৫০ টাকা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে বার্ষিক ২০০/২৫০/৩০০ টাকা হারে। পাকা ইমারতের বার্ষিক সর্বনিম্ন কর ১৫০ টাকা হলেও কোথাও কোথাও আদায় করা হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। বার্ষিক সর্বনিম্ন করহার ৫০ টাকা হলেও ২০০- ২৫০ টাকা হারে পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। যাকে যেভাবে বুঝিয়ে পারছে, অন্যায়ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে অবগত না থাকায় এ নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করতেও পারছেন না। দু-একজন প্রতিবাদ করলে ট্যাক্স না নিয়ে চলে যেতে চাইলে বাধ্য হয়ে অনেকে টাকা দিচ্ছেন।এভাবে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
একজন দিনমজুর, যাঁকে ৫০০ টাকা রোজগার করতে ১ দিন শ্রম দিতে হয়; তাঁর কাছ থেকে অন্যায়ভাবে ৪০০-৫০০ টাকা আদায় করার কোনোভাবেই সুযোগ নেই। আসুন, আমরা সচেতন হই। সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এই অন্যায় বন্ধ করা হোক।অত্র এলাকার জনগন এর এখন মনে প্রশ্ন আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি অন্যায়করীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।