মোঃ মাসুদ রানা সোহাগ, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রকাশ্যে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব! উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাও গ্রামে টিলার মাঠি দিয়ে জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আজিজ নামে এক মাটি খেকুর বিরুদ্ধে। পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে নির্বিচারে টিলা কাটছে স্থানীয় লোকজন। কেউ টিলার মাঠি দিয়ে বসতঘর নির্মান করছে। কেউ কেউ আবার মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে। টিলা কাটার ফলে ওই এলাকায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। কেউ কেউ আবার বলছে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই চলছে এই তান্ডব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার
লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাঁও গ্রামে টিলা কাটা হচ্ছে। নিরব রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (১৯৯৫-এর ধারা ৬-এর খ উপধারায়) উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কাটা যাবে না। কিন্তু উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাও গ্রামের দেখা গেছ ভিন্ন চিত্র।
লোকজন এই আইন লঙ্ঘন করে টিলা কাটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান,আব্দুল আজিজ খুবই প্রভাবশালী,সে প্রায়সময়ই টিলার মাটি বিক্রি করে। এবার টিলা কেটে বাড়ির ভিটা বানানো হচ্ছে এবং মাটি দিয়ে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করেনা। প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হেনস্তার স্বীকার হতে হয়।
সরেজমিনে,বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)গিয়ে দেখা গেছে,এই এলাকার মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র আব্দুল আজিজ,আজিজের পুত্র মাহমুদুল টিলার মাটি ও টিলায় থাকা গাছ কেটে বাড়ি তৈরির জন্য ভিটা ভরছে।
অন্যদিকে, যোগাযোগ করা হলে আব্দুল আজিজ দাবি করেন, বাড়ি করার জায়গা নেই। তাই টিলা কেটে ঘর তৈরির জায়গা করছি।
উপজেলা ভূমি অফিসের তশিলদার শিব্বির আহমদ, বলেন স্হানীয় একজন ফোন দিয়ে আমাকে অবগত করেছ। অফিসের কর্মকর্তা আবুল হাছান কে কলদিয়ে ছিলাম তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। আগামী রবিবারে এর এর ব্যবস্হা নেবো।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু জানান,বিষয়টি জানা নেই। খুঁজ নিয়ে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।