ভোলা প্রতিনিধি
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্দের মানবিক সহায়তার চাল না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন হাসান নগর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এতে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ আর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চাল না পেয়ে মঙ্গলবার কয়েকশ জেলে প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ চৌধুরী ।
সরেজমিনে জেলেদের চাল অনিয়মের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন ইউএনও।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই অর্থাৎ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসময় জেলেরা যেন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে, সে জন্য তাদের দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।
এর আওতায় ৫৬ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা তাদের। তবে ভোলাল বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের নিবন্ধিত অনেক জেলে চাল না পাওয়া অভিযোগ উঠেছে। চাল না পেয়ে সম্প্রত্তি কয়েকশ জেলে প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। জেলেদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ চৌধুরী জেলেদের জন্য বরাদ্দের সহায়তার চাল না দিয়ে স্বজনপ্রীতির করে। প্রকৃতি জেলেদের বাদ দিয়ে অন্যদের চাল দিয়েছেন। এবং সে প্রায় ২শত টন চাল আত্মসাত করেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নে ২৮শ নিবন্ধিত জেলে রয়েছে।
এসব জেলের মধ্যে থেকে তিনি ৯শ জেলের চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে ৫৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে এটি চক্রান্ত বলে দাবি ওই চেয়ারম্যান।
জেলেদের চাল অনিয়মের বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানান, বোরহানউদ্দন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।