বাংলাদেশে সম্প্রতি রাসেলস ভাইপার নামক সাপ নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সাপ সম্পর্কে নানা গুজব ও ভুল তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, এই আতঙ্কের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
বাংলাদেশ ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সমন্বয়ক ও গবেষক ড. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ জানান, “রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশের একটি স্থানীয় সাপ প্রজাতি, যা প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলে বিদ্যমান। এটি একটি বিষাক্ত সাপ হলেও হিংস্র নয়। বরং অলস প্রকৃতির এবং সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না।”
তিনি আরও বলেন, “এই সাপের কামড়ে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় না। সময়মত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের কামড়ের জন্য কার্যকর অ্যান্টিভেনম রয়েছে।”
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের আবাসস্থল বিস্তারের কারণে এই সাপের প্রাকৃতিক বাসস্থান নষ্ট হওয়ায় লোকালয়ে আসছে। এছাড়া, এই সাপ দ্রুত বংশবিস্তার করে এবং পানিতে সহজে চলাচল করতে পারে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
ড. সাঈদ সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “সাপের হাত থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন – রাতে টর্চ ব্যবহার করা, মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো, ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। যেকোনো সাপের কামড়ে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যাওয়া উচিত, ওঝার কাছে যাওয়া বা অপচিকিৎসা করা উচিত নয়।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাসেলস ভাইপার নিয়ে অহেতুক আতঙ্কের বদলে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সঠিক তথ্য জানা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করলে এই সাপের কারণে কোনো বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা নেই।