মোঃ মাসুদ রানা সোহাগ, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের শরীফপুর গ্রামের যুবকদের উদ্যোগে দেশ ও প্রবাসীর অর্থায়নে দোয়ারাবাজারের দু’টি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে প্রায় ৩৫০ জন মানুষ কে রাতের খাবার বিতরণ হয় ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তলিয়ে যাওয়া ১২০ পরিবারে (চাল,তেল,আলু,ডাল) বিতরন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০জুন) দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯নং সুরমা ইউনিয়ন শরীফপুর এলাকায় বন্যায় কবলিত মানুষের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ এবং দু’টি আশ্রয়হীন বন্যার্তদের মাঝে রাতের খাবার বিতরণ করা হয়।
বন্যা কবলিত দোয়ারাবাজার উপজেলা, চরম দুর্ভোগে মানুষ। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু বর্তমান স্বাভাবিক ধীর গতিতে কমছে বন্যার পানি। বসতবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠায় আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল ও মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধীর গতিতে বন্যার পানি কমাতে দল বেঁধে পানিবন্ধীরা এখনো আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়া শুরু করলেও কাঁচা মাটির বসতঘর যাদের তারা এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে।এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
দোয়ারাবাজার সুরমা ইউনিয়ন শরীফপুর প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নেয় ৩০ টি পরিবার এবং দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আশ্রয় নেয় অনুমান প্রায় শতাধিক পরিবার। এই কেন্দ্রে গুলো আশ্রয় নেওয়া এবং পানিবন্দিদের মানুষদের তাদের খুঁজ খবর নিচ্ছেন প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি’রাও এবং স্থানীয় যুবকেরা ও প্রবাসী’রা। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারের পানি বৃষ্টি না হওয়াতে পানি অনেকটা কমছে বলে জানা গেছে।