রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম
তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনায় দফায় দফায় চলছে উদ্ধার অভিযান। তবুও হদিস মিলছে না নিখোঁজ ৬ জনের। শেষবার স্বজনদের মুখ দেখার আশায় তীরে বিলাপ করছে পরিবারের লোকজন। এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা দেখেনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। আকস্মিক এ দূর্ঘটনায় গা শিউরে উঠছে তাদের।
তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিঃশেষ হয়ে গেছে একটি অভাগা পরিবার। স্বামী-স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। আড়াই বছরের মেয়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বোন, ভাগ্নি ও ভাতিজা নিখোঁজ নৌকাডুবির পর থেকে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম বজরার আনিছুর রহমান (৩২), তার স্ত্রী রুপালী বেগম (২৫), মেয়ে আইরিন আক্তার (৯), বোন ইরা মনি (১০), ভাগ্নি কুলছুম খাতুন (৩) ও ভাতিজা শামিম মিয়া (৮)। মৃত আয়শা নিখোঁজ আনিছুর রহমানের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার ২০/০৬/২০২৪ সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে দেয়। তিস্তায় হু হু করে বাড়ছে পানি, বিপৎসীমার ২৮ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে খরস্রোতা তিস্তায় নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, নিখোঁজদের সন্ধান পেতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।বৈরী আবহাওয়ার কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার আবারও উদ্ধার অভিযান চলবে।
বুধবার ১৯/০৬/২০২৪ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আত্মীয়ের বাসায় বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে ২৬ জন যাত্রী নিয়ে তিস্তা নদীতে ডুবে যায় নৌকাটি। স্থানীয়দের সহায়তায় রাতেই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ২০ জনকে উদ্ধার করে। আয়শা খাতুন নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও আতাউর রহমান। এখনো নিখোঁজ একই পরিবারের ৪ জন সহ মোট ৬ জন। অসুস্থ ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উলিপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।