আবু মাহাজ, ভোলা
ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় একের পরে এক রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি।
গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলা ২ নং ইলিশা ৩ নং ওয়ার্ডের খোরশেদ মাঝির বাড়ির পাশে একটি রাসেল ভাইপার পাওয়া গেছে।পরে রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার হয় আরো একটি রাসেল ভাইপার সাপ।এর আগে লালমোহন উপজেলাতে ও উদ্ধার হয় সাপটি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে দৌলতখানে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারের কামড়ে তিনটি বিড়ালের মৃত্যু হয়েছে। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। বিড়াল তিনটিকেও নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
১৮ জুন মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জালু মাঝির বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে জালু মাঝির বসতঘরে খাটের নিচে তিনটি বিড়াল মৃত অবস্থায় দেখেন ঘরের লোকজন। পরে ঘরের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করে দেখতে পান একটি সাপ ঘর থেকে বের হয়ে যান।
এই দৃশ্য দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে ডাকচিৎকার করলে আশে পাশে লোকজন এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। পরে জানতে পারেন সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ সালে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন থেকে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বন বিভাগকে খবর দিলে তারা সাপটি উদ্ধার করে তজুমদ্দি উপজেলার শশিগঞ্জ বিটের গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করেন।
ন এ নিয়ে দৌলতখান উপজেলায় দুটি, সদর উপজেলা একটি ও লালমোহন উপজেলায় একটি করে মোট ৪টি রাসেল ভাইপার সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, রাসেল ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই আসে। বাচ্চা দেয়ার কারণে হয়তো ওই সাপটি লোকালয়ে চলে আসতে পারে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া কেউ এসব সাপ দেখলে মেরে না ফেলে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানোর অনুরোধ করেন।