গোপাল হালদার, পটুয়াখালী
সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগে এবং সোমালিয়া, ইকোডোর, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের কিছু জায়গার সঙ্গে মিল রেখে সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ এলাকার কিছু সংখ্যক পরিবার ঈদুল আযহা উদযাপন করেছে।
রবিবার সকাল সারে ৮টায় বদরপুর দরবার শরিফে পবিত্র ঈদ-উল আযহার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন বদরপুর দরবার শরীফ মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম আবদুল গনি। নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি করেন।
জানা যায়, তারা ১০০ বছর পূর্বে থেকে সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগে থেকে রোজা এবং ঈদ-পালন শুরু হয়েছিলো। কলাপাড়া উপজেলার উত্তর লালুয়া, মাঝিবাড়ি, দেবপুর, পাটুয়া, নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়িয়া, সাফাখালী, তেগাছিয়া, আরামগঞ্জ, পাঁচজুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, পৌরশহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া, ফুলখালী, ছোটবাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী, কাটাখালী, বাউফল উপজেলার বগা, ধাউরাভাঙ্গা, মদনপুরা, সাবুপুরা ও আমিরাবাদ এলাকার অর্ধলক্ষ লোক আজ পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করছেন। এরা সকলে বদরপুর দরবার শরীফ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও এলাহাবাদ পীরের অনুসারী।
বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম আব্দুল গনি জানান, আফগানিস্তান, বুলগেরিয়া ও নাইজিরিয়া শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার কারনে বিশ্বের অন্য দেশের মুসলমানদের সঙ্গে একই দিনে আমরা রোজা, ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল-আযহা পালন করে থাকি। প্রায় ৮৫বছর ধরে তা চলে আসছে। এ জন্য নামাজ শেষে ঈদ পালন করতে খুশীতে মাতোয়ারা।
বদরপুর দরবার শরীফের পরিচালক মো. নাজমুস সাহাদাত বলেন, ‘আফগানস্থান, বুলগেরিয়া ও নাইজিরিয়া শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই বিশ্বের অন্য দেশের মুসলমানদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারাও ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বদরপুর দরবার শরীফে সকাল সারে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদ দেখা গেলেই বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রায় ৮৫ বছর ধরে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করি এবং ঈদ উদযাপন করে আসছি।