মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের লক্ষ্যে জেলা নাগরিক প্লাটফর্ম ও উপজেলা ইয়ুথ গ্রুপের নির্বাচিত সদস্যদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ১৪ জুন ) শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় খাগড়াছড়ি জেলায় তৃণমুল উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত আস্থা প্রকল্পের উদ্যোগে সংস্থার আশীষ হল রুমে শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের জন্য নাগরিক প্লাটফর্ম এবং ইয়ুথ গ্রুপের নির্বাচিত সদস্যদের ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় জনাব সাধন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা থেকে নির্বাচিত নাগরিক প্লাটফর্মের ১১ জন সদস্য এবং উপজেলা ইয়ুথ গ্রুপের ০৯ (নয়জন) প্রতিনিধি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন তৃণমুল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী ধনেশ্বর দেওয়ান, মনিটরিং ও রিপোর্টিং কর্মকর্তা মিহির কান্তি ত্রিপুরা এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
নাগরিক প্লাটফর্ম ও ইয়ুথ গ্রুপের উদ্যোগে সরকারী কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সাথে পরামর্শ সভার জন্য খচড়া কী-নোট পেপার মাল্টিমেডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন করেন আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী ধনেশ্বর দেওয়ান। এতে অংশগ্রহনকারীরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।
আয়োজিত প্রোগ্রামে উপস্থিত নাগরিক প্লাটফর্ম ও ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে খচড়া কী-নোট পেপার চুড়ান্ত করা হয়। আলোচনা ও মতামতের নিরিখে সহিংসতা প্রতিরোধ এবং শান্তি, সহনশীলতা, সম্প্রীতি ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য এডভোকেসী করার কৌশল ও করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
এতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্টীর নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় নাগরিক প্লাটর্ফম ও ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে দিকনিদ্দেশনা প্রদান করা হয়। সামাজিক সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে নাগরিক হিসাবে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কারিগরি পরামর্শ প্রদান করা হয়।
বক্তাদের আলোচনায় স্পষ্ট হয় যে, এই প্রক্রিয়া যথাযথভাবে কার্যকর হলে যে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রদায়ের যুব এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পারবে এবং উপকৃত হবে। যুবদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। যুবদের ক্ষমতায়নের মূলসুত্র হলো নিজের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। পাশাপাশি যুবদের ক্ষমতায়ন, অংশগ্রহন ও চেতনা সমুদ্ধকরণ এবং অর্ন্তভুক্তিমূলক কার্যক্রমে সংযুক্ত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় মূল উন্নয়ন ধারায় অংশগ্রহন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
যুব নীতিমালা তৈরী করার সময় যুবদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে জোড় দেওয়া হয়। এতে করে তাদের শিখার আগ্রহ বিকশিত হবে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, চাকুরীর ক্ষেত্রে প্রান্তিক যুবরা অনেক পিছিয়ে আছে। যুবদেরকে জাতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তৈরী করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এসডিজির মূল লক্ষ্য “কেউ পিছিয়ে থাকবে না”। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আস্থা প্রকল্পের সাথে যে কোন ধর্ম, গোত্র ও সম্প্রদায়ের যুবরা যুক্ত হয়ে সমাজের এবং দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। আস্থা প্রকল্প যুবদের দৃয়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। ৯ টি উপজেলা থেকে আগত ইয়ুথ গ্রুপের প্রতিনিধিরা অনেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় মতামত প্রদান করেন। আগামীতে জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারী বিভাগ ও প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যোগাযোগ ও মতবিনিময় করার লক্ষ্যে এই ২০ জন অংশগ্রহনকারীকে প্রস্তুত করার জন্য আজকের এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামটি অনুষ্টিত হয়েছে।