বিপ্লব ইসলাম, লংগদু, রাংগামাটি
রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সর্ববৃহৎ পশুর হাট মাইনী মুখ বাজার। পাহাড়ি দেশি গরুর জন্য এই বাজারটি পরিচিতি পেয়েছে সারাদেশেই। বাজারটি বসে মাইনী মুখ বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন গরুর বাজার মাঠে।সপ্তাহের প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক পশুর হাট বসে বাজার টিতে,তবে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্থানীয় পাহাড়ি বাঙালি বিক্রেতারা শত শত গরু নিয়ে এসেছে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে।
তবে সাধারণত লংগদু উপজেলার স্থানীয় ক্রেতাদের নিকট ছোট গরুই বেশি পছন্দ। বিক্রেতা এবং বেশ কিছু ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার কোরবানিতে পাহাড়ী গরুর কদর বেশী। তাই দামও একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে বেশ কিছু ক্রেতা জানান।
লংগদু উপজেলার এই পশুর হাটে পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা হতে পাহাড়ী বিভিন্ন প্রজাতির গরু আনা হয় বিক্রয়ের জন্য। কোরবানির হাটে গিয়ে দেখা মেলে গরু ব্যাপারীরা মারিশ্যা,বরকল সহ লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও জিপগাড়ি (চাঁদের গাড়ি)যোগে পশু নিয়ে আসছেন। দাম ও হাঁকা হচ্ছে অনেক বেশি।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী শাহ-আলম জানান,সারা বছর যাবৎ পাহাড়ে জঙ্গলে গরু ছেড়ে দিয়ে লালন-পালন করি। পশুরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক ঘাস, লতাপাতা খেয়ে থাকে। এদের কোন প্রকার স্বাস্থ্যর জন্য বাহিরের ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়না। তাই পাহাড়ের গরুর দাম একটু বেশি।
রাঙ্গুনিয়া,রাংগামাটি ও চিটাগং থেকে গরু ক্রয় করতে আসা কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানান, বাজারে যে সকল গরু আনা হয় পাহাড় হতে তা অনেক ভালো। এ সকল গরু প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ঘাস ও লতাপাতা ছাড়া কিছুই খায়না। শনিবারের হাটে লাখ লাখ টাকার পাহাড়ী গরু ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে। তবে দাম কিছুটা বেশি হলেও ধারনা করা হচ্ছে ঈদের ২/৩দিন আগে দাম কিছুটা শিথিল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাইনী মুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল জানান, আমার ইউনিয়নে একটি মাত্র পশুর হাট। এইখানে লংগদু সহ আশেপাশের অনেক উপজেলা হতে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনর রশীদ বলেন,ক্রেতা বিক্রেতা মুখর ছিলো বাজারটি, এছাড়াও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক আমাদের নজরদারিতে ছিলো।
বৃহৎ এই গরুর হাটে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মেডিকেল সাপোর্ট তো দূরেই থাক কোনো কর্মকর্তাদেরও দেখা পাওয়া যায়নি।পরক্ষণে একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ করেনি কর্মকর্তা সৌরভ সেন,পরবর্তীতে অন্য নাম্বারে যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন কুমার নাথ বলেন,আমার চোখের অপারেশন ছিলো আমি ছিলাম না তবে টিম ছিলো।