মিঠুন সাহা,খাগড়াছড়ি
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস । ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই দিবসটি সারাবিশ্বের বিভিন্ন শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বের প্রতিটি দেশে পালিত হয় দিবসটি। দিবসটির মূল লক্ষ্য পরিবেশ দূষণের কারণ ও দূষণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা। এ ছাড়া মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তোলাও এ দিবসের অন্যতম একটি লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যদি সহনশীল পরিবেশ রাখতে চাই সেক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণ শুধু নয় বৃক্ষ নিধন ও আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমরা জানি যে পাহাড়ি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যের কারনে এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ল্যান্ডস্লাইড হয়। ভূমিধস যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই তাহলে কোনভাবে যেন গাছ নিধন করতে না পারে সেদিকে আমাদের সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদেরকে নতুন করে গাছ রোপন করতে হবে। গাছ কাউকে নিরাশ করে না। আমাদের খাগড়াছড়িতে তাপমাত্রার দিন দিন বাড়ছে। অনেক কারণেই তাপমাত্রা বাড়ছে। তার একটি অন্যতম কারণ বৃক্ষ নিধন করা। আমরা নতুন গাছ তো লাগাবোই একই সাথে বৃক্ষ নিধন না করে অক্সিজেন চক্রকে স্বাভাবিক রেখে পরিবেশকে বাসযোগ্য করতে হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বন বিভাগের কর্মকর্তাগন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নেতৃবৃন্দ।