লক্ষ্মণ রায়, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি মহিলা সদস্যা রাসেদা বেগমকে নিয়ে পরকীয়া করার অভিযোগ করে প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদ।গতকাল মঙ্গলবার রাসেদা বেগম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদের আনিত অভিযোগকে মিথ্যা, চক্রান্তমূলক ও বানোয়াট বলেছেন।
রাসেদা বেগম ৮ মাসের অন্তস্বত্বা।এই গর্ভস্থ্য সন্তান তার প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদের।আবু সাঈদ তার প্রাক্তন স্ত্রী রাসেদা বেগমকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও অত্যাচার করতেন।এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়ের কাছে অভিযোগ জানালে, পামুলি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের প্ররোচনায় চেয়ারম্যানকেই অভিযুক্ত করার কূটকৌশল করা হয়।
শুরু থেকেই পামুলি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলামের কুদৃষ্টি ছিল রাসেদা বেগমের উপর।তাজুল ইসলাম রাসেদা বেগমকে দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার কুপ্রস্তাব দিলে তা রাসেদা বেগম নাকচ করে দেন। তাই তাজুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগী আমির হোসেন বয়লার এবং জয়নালকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির ও ফাঁসানোর নীলনকশা তৈরী করতে থাকেন।
রাসেদা বেগম আরও বলেন,যে বাড়িতে থাকেন ঐ বাড়িটি তার ভাই বোনের অর্থায়নে দেওয়া।তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এই এলাকায় তিনি এতিম বলে দাবি করেন।তাই বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার জন্য চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়ের সাথে সু সম্পর্ক। আবু সাঈদ দুই বছর ওমানে প্রবাস জীবন যাপন করেন।প্রবাস জীবনে আবু সাঈদ তেমন সুফল আদায় করতে পারেন নি। চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সাঈদকে বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আনা হয়।
রাসেদা বেগমকে বিভিন্ন প্ররোচনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয় চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়কে ফাঁসানোর জন্য।ফজলে হায়দার নামে জনৈক ব্যাক্তি রাসদাকে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন যে, “চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাও গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা দাবী করো”। পূর্বোক্ত ঘটনাবলির কারনে রাসেদা বেগম মামলা করে এবং তার প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদ পরে মামলা করে।
রাসেদা বেগম আরও বলেন, তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টারের ভোট করেন এবং তার স্বামী আনারসের ভোট করেন।সেই থেকে বিশৃঙ্খলার পরিমান আরও বেড়ে যায় এবং এতে কিছু কুচক্রী মহল আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করে।
রাসেদা বেগম নিজেকে এবং চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়কে নির্দোষ দাবি করেন এবং জনগনের কাছে বিচার চান।