মো: সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
৩০শে মে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদিবস। এ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজন হয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, দোয়া, মিলাদ, খিচুড়ি বিতরণ ইত্যাদি। সেখানে উপস্থিত হন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। গরমা-গরম বক্তৃতা শোনা যায় অনুষ্ঠানে। তবে কারো মুখে শোনা যায় না জিয়া হত্যার বিচারের কথা। আজ সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গণমাধ্যমের সামনে অনেক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। অপ্রাসঙ্গিকভাবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির একজন নেতাও জিয়া হত্যার বিচার দাবি করেননি। এমনকি লন্ডন থেকেও আসেনি তেমন কোনো বার্তা।
স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, বিএনপি কেন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার চায় না?
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অন্যতম পাঠক জিয়া পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান, ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতিও হন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ইতিহাসের অংশ হওয়া জিয়ার পরিবার পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে। প্রভূত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন জিয়া হত্যার বিচার হলো না আজ পর্যন্ত? কেন পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি উঠল না?
আসুন, ইতিহাস কী বলে দেখি-
সময়কাল ১৯৮১ সালের ৩০শে মে শুক্রবার ভোররাত। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির রাত। ফজরের আজানের কিছু আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কিছু সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কেটে গেছে চার দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু পাঠক, এই সুদীর্ঘ ৪০ বছরে কি আপনি কোথাও একবারও শুনেছেন বিএনপি জিয়া হত্যার সুষ্ঠু বিচার চায় বা চেয়েছে? ‘জিয়া হত্যার বিচার চাই’— এই দাবি জিয়ার স্ত্রী; বাংলাদেশের ২ বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক রহমান কিংবা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর মুখে কি শুনেছেন? এই স্বাভাবিক কথাটিই কেন শুনি না, এটি কি ভেবেছেন কখনো?
৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছিলে। তখনকার অনেক সেনা কর্মকর্তার বিশ্বাস ছিল, একটু ঠিকমতো বুদ্ধির খেলা খেলে বন্দুক চালাতে পারলেই ক্ষমতার শিখরে আরোহণ সম্ভব। একটা ডগ রেস শুরু হয়েছিল যেন। ক্ষমতা দখলের এই লড়াইয়ে চতুরতার সঙ্গে জিয়া জয় পেয়ে যান। প্রতিদ্বন্দ্বীদের মেরুদণ্ড ভেঙে জিয়া ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির গদিতে আরোহন করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সময় যে একেবারেই নিস্তরঙ্গ ছিল, তা কিন্তু নয়। জিয়ার বিরুদ্ধে ২১টি ক্যু হয়, স্বৈরশাসক জিয়া সবকটি অভ্যুত্থান অত্যন্ত শক্ত হাতে ও নৃশংস কায়দায় দমন করেন। প্রায় ৫ হাজারের মত সেনা সদস্যকে বিভিন্ন উপায়ে রাতের আঁধারে ফায়ারিং স্কোয়াডে বা ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। তাদের কী অপরাধ ছিল, অনেকেই জানেন না।
এমনকি ক্যু-চেষ্টা করেছেন, এমন কারো সাথে নাম মিলে যাওয়ায় একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। কোর্ট মার্শালের নামে মৃত্যু পরোয়ানায় একের পর এক সই করে গেছেন জিয়া। এক হাতে ব্রেকফাস্ট করছেন, অপর হাতে সই করেছেন। এমনকি বিদেশ যাত্রার সময় বিমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়েও পরোয়ানায় সই করার রেকর্ড আছে তার। ঘটনাচক্রে সেই জিয়া প্রাণ হারান একদল সেনা সদস্যের হাতে। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে তারিখে একদল সেনা সদস্য চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আক্রমণ চালিয়ে তাকে হত্যা করেন। যার বর্ণনা, উদ্দেশ্য আর পরিকল্পনাকারীদের নিয়ে আজও বিভিন্ন প্রশ্ন আছে। আছে নানা অনুসন্ধানের জায়গা।
তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই হত্যার বিচার চাওয়ায় তার পরিবারের কেউ কখনো আগ্রহী ছিলেন না। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটুকু বোঝা যায়, জিয়ার গড়া দল বিএনপি, দলের নেতা-কর্মী যারাই আছেন, তারা জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক, শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা (নয়া সংযোজন- প্রথম মুক্তিযোদ্ধা), বহুদলীয় (যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতসহ) গণতন্ত্রের প্রবক্তা ইত্যাদি নানা আরোপিত উপমা লাগিয়ে মহিমান্বিত করেন। কিন্ত আদতে তাদের কেউই জিয়ার সত্যিকারের অনুরাগী নন।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জিয়া অসংখ্য সেনা কর্মকর্তার প্রাণ নেন অভ্যুত্থানের অজুহাতে। সেই জিয়া তারই বিশ্বস্ত সেনা সদস্যদের হাতে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে প্রাণ হারান (পালাতে গিয়ে পিঠে গুলি খেয়ে)। যার লাশ নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। মার্কিন গোপন নথিতে বলা হয়েছে জিয়ার লাশ হালদা নদীর পাড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। রাউজানের একটি কবর থেকে কম্ব্যাট ইউনিফরম পরা একটি বিকৃত লাশ তুলে এনে ঢাকায় কবর দেওয়া হয়। রহস্য হলো, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জিয়া সেনা উর্দি পরেননি আর। তাছাড়া যে রাতে নিহত হন জিয়া, সে রাতে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছেন এবং আকণ্ঠ মদ্যপান করেছেন। পরনে ছিল স্লিপিং গাউন। একজন রাষ্ট্রপতি নিশ্চয় রাতে ঘুমাতে যাবার সময় কম্ব্যাট ইউনিফরম পরেন না। সেজন্য তার লাশ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
সার্কিট হাউজের সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দু’দিন পর চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা মো. মোকাররম একটি মামলা করেছিলেন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে। প্রধান আসামি মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে ধরে এনে ক্যান্টনমেন্টে বিচারের মুখোমুখি করার আগেই হত্যা করা হয়েছিল রহস্যজনক কারণে। আর অন্যদের সামরিক আদালতের মাধ্যমে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
যেদিন এই সেনা কর্মকর্তাদের রায় কার্যকর হওয়ার কথা, তার আগেরদিন সে সময়কার ১৫ দলের নেতাদের একটি দল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারের সঙ্গে দেখা করে রায় বাতিলের চেষ্টা করেন। কারণ এই মামলার যে ৯ জন আসামি, তারা সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে তাদের বীরত্বের বিষয়টি সবার জানা ছিল। ওই ৯ জনের ফাঁসি যেন না হয়, এই আবেদন বিচারপতি সাত্তারের কাছে করেছিল ১৫ দল। কিন্তু বিচারপতি সাত্তার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। পরদিনই ৯ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
৩০শে মে’র সেই ঘটনার প্রায় ১ বছর পরে ১৯৮২ সালের ১২ই জুন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুহুল ইসলামের নেতৃত্বে। অন্য ২ জন সদস্য ছিলেন বিচারপতি এ টি এম আফজাল এবং খুলনার সেশন জজ সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম। ঠিক হয়েছিল, তারা এই ঘটনার তদন্ত করবেন, কারা, কী উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পনা করেছিল, পেছনের কারা ছিল। অর্থাৎ পরিকল্পনাটা কোথা থেকে হয়েছে, কীভাবে হয়েছে— এই বিষয়গুলো, তথ্যগুলো যেন উদঘাটিত হয়। ৩ সদস্যের এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত করে দীর্ঘ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন এবং যথাসময়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের হাতে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবেদনটি আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।
এ টি এম আফজালকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনারা কি সেই প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিলেন? এ টি এম আফজাল বলেছিলেন, আমরা যথাসময়ে সেটি জমা দিয়েছি এবং সেটি অনেক পৃষ্ঠার একটি বিশাল প্রতিবেদন। তো, সেটি কি প্রকাশিত হয়েছে? এ টি এম আফজাল বলেছিলেন, না, প্রকাশিত হয়নি।
এই অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে অনেকেই গবেষণা করেছেন— কী ছিল এই তদন্ত প্রতিবেদনে বা কী থাকতে পারে? যেহেতু এটি প্রকাশিত হয়নি, তাই এ নিয়ে অনেকেই গবেষণা করেছেন, অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। গবেষণার ফলাফলে থেকে জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়া পরিবারের সদস্য এবং জিয়ার ঘনিষ্ঠ লোকজনের নাম অর্ন্তভুক্ত ছিল। সে কারণেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়নি।
পরবতীতে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি স্থগিত করে দেয়। সবার মনে প্রশ্ন তৈরি করে, জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বিএনপি সরকার দেশ চালাচ্ছে, ক্ষমতায় আছে, তারা মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্থগিত করে দিল! কিন্তু কেন? ধারণা করা হয়, গবেষকরা যে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, যে জিয়া পরিবারের লোকজন বা তার ঘনিষ্ঠা এই ঘটনার সাথে জড়িত, কোথাও না কোথাও কথাটির মধ্যে সত্যতা আছে।
পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতাসীন হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৯৭ সালের ২৬শে নভেম্বর এই মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। অর্থাৎ মামলাটি চলতে আর কোনো অসুবিধা থাকার কথা নয়। নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মামলাটি চালু হয়েছিল, এই মামলার সাক্ষী ছিলেন ৩৬ জন। সাক্ষীদের মধ্যে জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ছিলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও ছিলেন, যিনি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার দিন গভীর রাত পর্যন্ত জিয়ার সাথে বৈঠক করছিলেন। তিনি সার্কিট হাউজে পাশের কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন সেই রাতে। যদিও তিনি পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন, সেই রাতে তিনি নাকি কোনো কিছু টের পাননি!
দীর্ঘদিন ধরে অর্থাৎ আওয়ামী লীগের পুরো শাসনামলে এই মামলার সাক্ষী যারা ছিলেন, তারা আদালতে সাক্ষী দেওয়ার তারিখগুলোতেও উপস্থিত হননি এবং প্রায় ১৬৮ বার সাক্ষীদের গাফিলতির কারণে মামলার সাক্ষী নেওয়ার তারিখ পিছিয়েছে। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নাটকীয়ভাবে আবারও মামলাটি খারিজ করায়।
এখানে মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটি হচ্ছে— জিয়াউর রহমান একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যে রাজনৈতিক দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এখনো বর্তমান আছেন। তার স্ত্রী দুবার ক্ষমতায় ছিলেন, ছেলে তারেক রহমানও ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তারা এই মামলাটিকে কেন হিমাগারে পাঠিয়ে দিলেন? কেন তারা নিজেদের পক্ষ থেকে বিচারের দাবি উত্থাপন করলেন না আজ পর্যন্ত? বিষয়টি আসলে খুবই রহস্যজনক। কারণ তারা নিজেরা বিচারের দাবি তো তোলেইনি, বরং বিচারের পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগ সরকার মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিলেও বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে মামল খারিজ করে পুনরায় হিমাগারে পাঠিয়ে দিল।
জিয়াউর রহমানকে বিএনপি বা দলের সমর্থকরা প্রায়ই স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক কিংবা ভাঙা স্যুটকেসের মালিক বলেন, তার নাকি কোনো সম্পদ ছিল না (যদিও পরবর্তীতে আলাদীনের চেরাগের জ্বীন এসে অঢেল সম্পদ দিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে)— এসব বলে বলে গুণকীর্তন করেন। কিন্তু কেউই বিচারের বিষয়টি মুখে তোলেন না। তার দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক, তার পরিবারের সদস্যরা, তার আত্মীয়স্বজন বা তার ঘনিষ্ঠজন— কেউই চান না বিচার হোক।
আমার বাবার হত্যার বিচার চাই— এটি কখনো শুনেছেন কি তারেক রহমানের মুখে? কিংবা স্বামীহারা দুবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখে বিচার চাওয়ার কথা শুনেছেন? কিংবা নিদেনপক্ষে এ বিষয়ে একটি পদক্ষেপের কথা কি মনে করতে পারেন? বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর মুখে কি শুনেছেন যে জিয়া হত্যার বিচার চাই? বরং যে মামলাটি আওয়ামী লীগের আমলে পুনরায় চালু করা হয়েছিল, সেটিকে হিমাগারে পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়া। মামলার কার্যক্রম শেষ করে দিয়েছেন। বিএনপি যতই বলুক তারা জিয়ার আদর্শের অনুসারী, জিয়ার নামে সমালোচনা শুনলে তাদের রক্ত গরম হয়ে যায়, কিন্তু এসব যে লোক দেখানো, তা যে কেউই বলবে।
প্রিয় পাঠক, বিবেচনা করে দেখুন, এখানে মামলার তারিখ এবং ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। গবেষকরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছিলেন, এ ঘটনার পেছনে জিয়া পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ লোকজন জড়িত ছিল। আর সেজন্যই কি এটি ধামাচাপা দিতে খালেদা-তারেক গোষ্ঠী চায় না জিয়া হত্যার বিচার হোক? তাই নেতা-কর্মীরাও কখনো বলে না, জিয়া হত্যার বিচার চাই।