আবুবকর সিদ্দিক, কয়রা, খুলনা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনা জেলার উপকূলীয় কয়রার ১০ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এছাড়া ৯টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানে জরুরী ভিত্তিতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২৬মে (রবিবার) দুপুর থেকে ২৭ মে নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বাড়তে থাকলে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালি (কোস্টগার্ড অফিস সংলগ্ন), মাটিয়া ভাঙ্গা, ছোট আংটিহারা, চোরা মুখা, বড় আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং মহারাজপুর ইউনিয়নের পবনা, কয়রা সদরের হামখুড়ার গড়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। পরে উপজেলা প্রশাাসনের তত্বাবধানে সেখানে দিনভর বাঁধ মেরামতে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রেমাল উপকূলে আঘাত হানার আগেই খুলনার নদ-নদীতে বিপদসীমার ৪-৫ ফিট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পশুর নদীতে পানি প্রবাহের বিপদ সীমা মাত্রা দুই দশমিক ৪৫ মিটার। আজ তা বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ১৭ মিটার। খুলনার সবচেয়ে বড় নদী শিবসার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকে এক দশমিক ৭৬। এর বিপদ সীমা হল এক দশমিক ৩৭ মিটার। আজ সেখানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৯৪ মিটার।
কপোতাক্ষ নদীর বিপদসীমা এক দশমিক ৯৫ মিটার আজ তা বিপদ সীমা ছাড়িয়ে ২ দশমিক ৪৭ মিটার এ পৌঁছেছে। শাকবাড়িয়া নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ১৭ মিটার সেখানে আজ বিপদসীমা অতিক্রম করে জোয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৩৯ মিটার। ফলে এখানকার অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক উজ-জামান জানান, নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হলেই বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে। বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ ঠেকাতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ উচু করা হচ্ছে।