আবু মাহাজ, ভোলা
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল হয়েছে ভোলার নদী ও সাগর । নদীর পাড়ে থাকা লোকজনকে বার বার মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে কোষ্টঘাট ও রেডক্রিসেন্ট, সিপিপি সদস্যরা । শনিবার (২৫ মে) সকাল থেকেই উত্তাল ভোলার নদী গুলো। তবে অনেকে জেলে নির্দেশনা মেনে নৌকা নিয়ে তীরে এসেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত হানার আশঙ্কায় ভোলায় দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান । সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্টেক হোল্ডারগন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলা জুড়ে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২টি কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, দৌলতখান উপজেলায় ১১২টি আশ্রয়কেন্দ্র, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১২২টি আশ্রয়কেন্দ্র, তজুমুদ্দিন উপজেলায় ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র, লালমোহন উপজেলায় ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলার সাত উপজেলায় ৬৯৩টি ইউনিটে মোট ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮৭টি ইউনিটের ১ হাজার ৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, দৌলতখান উপজেলায় ৯১টি ইউনিটে ১ হাজার ৮২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৭৩টি ইউনিটের ১ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৮১টি ইউনিটে ১ হাজার ৬২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, লালমোহন উপজেলায় ১৩৭টি ইউনিটে ২ হাজার ৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি ইউনিটে ৩ হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি ইউনিটে ১ হাজার ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সর্বাত্মক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়াও আশ্রকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে আসা মানুষের জন্য শুকনো খাবার, জ্বালানি ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ কয়েকটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে সাড়ে ১১ লাখ টাকা, ২২২ মেট্রিকটন চাল এবং শিশু খাদ্য, শুকনো খাবার ও গোখাদ্যর জন্য পর্যাপ্ত মজুদ দেওয়া হয়েছে। ছাড়াও জনগণের সেবার জন্য ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা।
এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।